বিবিসি বলছে, সিরিজটির আরেক চরিত্র স্যাম উইলসন, ‘দ্য ফ্যালকন’ নামেই যার পরিচিতি বেশি- তার গায়েই এবার উঠতে যাচ্ছে নীল-সাদা ক্যাপ্টেন আমেরিকার উর্দি।
গল্পের কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তনই ক্যাপ্টেন আমেরিকার এই চরিত্র বদলের মুল কারণ বলে জানিয়েছেন নির্মাতারা। পরের কমিকসে দেখা যাবে, সুপারভিলেইন আয়রন নেইলের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী এক লড়াইয়ে গুরুতর আহত হয় স্টিভ রজার্স। যার ফলে সে হারিয়ে ফেলে তার অতিমানবীয় শক্তি। আর একারণেই তার জায়গায় উঠে আসে দ্য ফ্যালকন; ক্যাপ্টেন আমেরিকার শূন্যস্থান পূরণ করা হয় তাকে দিয়েই।
ক্রিস ইভান্স ভক্তদের অবশ্য ভয় পাওয়ার কিছু নেই এতে। কমিকসের এই পরিবর্তন সিনেমায় কোন প্রভাব ফেলবে না বলেই জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’ সিরিজের দুটি সিনেমায় মূল ভুমিকায় অভিনয় করেছেন ক্রিস ইভান্স। সিরিজের দ্বিতীয় সিনেমা ‘উইন্টার সোলজার’-এ ‘দ্য ফ্যালকন’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন অ্যান্থনি ম্যাকি। তবে ক্যাপ্টেন আমেরিকা বা অ্যাভেঞ্জার্স- দুটি সিরিজের কোনটিতেই তাকে ইভান্সের স্থলাভিষিক্ত করার কোনো ইচ্ছে নেই নির্মাতাদের। ২০১৫ সালের ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা থ্রি’ আর ‘অ্যাভেঞ্জার্স’ সিরিজের পরবর্তী সিনেমা ‘দ্য এজ অফ আলট্রন’-এও ইভান্সকেই দেখা যাবে আগের ভূমিকায়।
ফ্যালকনকে নিয়ে তিনি আরও বলেন, “ফ্যালকন নতুন হলেও সুপারহিরো হিসেবে তার অভিজ্ঞতাকেও কিন্তু ছোট করে দেখার উপায় নেই। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম এবং সততা দিয়ে সে এই অবস্থানে এসেছে।”
কিছুদিন আগেই মার্ভেলের তরফ থেকে ঘোষণা এসেছে নারী থরের। এবার ঘোষণা এল কৃষ্ণাঙ্গ ক্যাপ্টেন আমেরিকার। সবমিলিয়ে, আঁচ পাওয়া যাচ্ছে মার্ভেল ইউনিভার্সে এক বিশাল হাওয়া বদলের।
মার্ভেলের কমিক সম্পাদক, টম ব্রিভুর্টের ভাষ্যে, “এটা তো সবে শুরু। ‘পরিবর্তন’ মার্ভেলের প্রতিজ্ঞাগুলোর একটি। আর তাই, আরও অনেক চমক অপেক্ষা করছে আমাদের ভক্তদের জন্য।”