তার ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতীয় দৈনিক টাইমস অফ ইন্ডিয়া প্রকাশ করেছে পঞ্চমের সেরা ১০ গানের তালিকা।
০১. দাম মারো দাম (হারে রামা হারে কৃষ্ণা, ১৯৭১)
এই এক গানের মাধ্যমে জিনাত আমানের ইমেজ আমূল বদলে যায়। গানটি হিপ্পি সংস্কৃতির আবহকে অনেকাংশেই তুলে ধরে। আশা ভোঁসলের কণ্ঠে গানটি আজও সংগীতপ্রেমীদের কাছে আর ডি বর্মনের সেরা কাজগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত হয়।
হেলেন, আর ডি বর্মণ আর আশা ভোঁসলের মেলবন্ধনে অনন্য কিছু গানের জন্ম হয়েছে। তবে এই গানটিকে তালিকায় উপরের দিকেই রাখতে হবে। গানটিতে হেলেনের নাচ, আশার আবেদনময়ী কণ্ঠ আর আর ডি বর্মণের ক্যাবারে ধাঁচের সুর সে সময়ের দর্শক-শ্রোতাদের নতুনত্বের স্বাদ দিয়েছিল।
০৩. আজা আজা (তিসরি মানজিল, ১৯৬৬)
আর ডি বর্মণের উদ্দীপক সুর গানটিকে তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল। সঙ্গে অবশ্যই ছিল মোহাম্মদ রফির মাদকতাপূর্ণ কণ্ঠ। গানটির তালে যে কেউ পা মেলাতে বাধ্য হবে।
অনেকে মনে করতেন আর ডি বর্মণ শুধু ফিউশন সংগীতেই পারদর্শী। কিন্তু এই গানটি সেই মতকে উড়িয়ে দিয়েছিল। কিশোর কুমার ও লতা মুঙ্গেশকরের গাওয়া এ গানের মাধ্যমে ‘পঞ্চম’ ভারতীয় সংগীতধারায় নিজের দখলের প্রমাণ দেন।
০৫. তুঝসে নারাজ নেহি জিন্দেগি (মাসুম, ১৯৮৩)
লতা মুঙ্গেশকরের গাওয়া এ গানটি সিনেমায় চরিত্রগুলেরা মানসিক টানাপড়েনের জটিলতার সরল প্রকাশ যেন। গুলজারের কথায় মেলোডিনির্ভর গানটি শ্রোতাদের ভাবুক করে তুলবে।
লতা মুঙ্গেশকর আর কিশোর কুমার জুটির অন্যতম সেরা গান বলা হয় এটিকে। আর ডি বর্মণের রোমান্টিক সৃষ্টির তালিকায় এই গানটি শুরুর দিকে থাকবে।
০৭. ইয়াদো কি বারাত (ইয়াদো কি বারাত, ১৯৭৩)
কিশোর কুমার ও লতা মুঙ্গেশকরের গাওয়া পঞ্চমের আরেকটি সেরা কাজ এটি। সেই সঙ্গে এটি তার সিগনেচার কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম।
গিটার হাতে জিনাত আমানের ঠোঁটে যখন আশা ভোঁসলে গানটি গেয়ে ওঠেন তখন সৃষ্টি হয় অন্যরকম দ্যোতনা। আশার সঙ্গে রাফি সাহেবের যুগলবন্দি গানটিকে অসাধারণ করে তুলেছে।
আর ডি বর্মণের আরেকটি রোমান্টিক ক্ল্যাসিক গান এটি। চিত্রায়িত হয়েছে অমিতাভ বচ্চন আর পারভিন বাবিকে নিয়ে। আর গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কিশোর কুমার।
১০. রিম ঝিম গিরে সাওয়ান (মানজিল, ১৯৭৯)
আর ডি বর্মণের সুরে আর কিশোর কুমারের কণ্ঠে বর্ষা আর প্রেমের সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে এই গানে।