২৪ জুন রাতে নতুন করে নিজের সব অভিযোগ পুলিশকে জানান প্রিতি। ১২ তারিখে দায়ের করা এই মামলার জন্য দেওয়া বিবৃতিতে তিনি জানান তাকে উপস্থিত লোকজনের সামনে হয়রানি করা হয় এবং প্রশ্ন তোলা হয় তার চরিত্র নিয়ে।
বিবৃতিতে বলা হয়, নেস ওয়াদিয়া যে ধরনের ব্যবহার করেছেন, তা তার নারীত্বকে আঘাত করেছে। একজন তারকা হিসেবে মানুষের সামনে অপমানিত বোধ করেছেন তিনি।
মূল ঘটনাটি ঘটেছিল স্টেডিয়ামের সংরক্ষিত আসন নিয়ে। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের দুই মালিক প্রিতি এবং নেস উভয়ের জন্য বরাবরের মতো মুম্বাইয়ের ওয়ানখেরে স্টেডিয়ামে বরাদ্দ ছিল নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন।
সিসিটিভি ফুটেজ বলছে, সব আসন সেদিন দখল করে রেখেছিলেন প্রিতি এবং তার বন্ধুরা। যার ফলে আসন না পেয়ে গ্যালারিতে ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয় নেসের মা মৌরিন ওয়াদিয়াকে।
মাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে প্রিতির সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন নেস, যা পরে মোড় নেয় হয়রানিতে।
৩০ মে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রিতি মামলা দায়ের করেন ১২ জুন।
বিবৃতির অংশ হিসেবে পুলিশকে সেই গ্যালারিতেও নিয়ে যান প্রিতি। সেখানে দেখা যায়, প্রতিটি আইপিএল দলের জন্য আলাদাভাবে ৩৫টি করে আসন রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এলাকায়। এছাড়া আরও ৫০টি করে আসন থাকে সাধারণ গ্যালারিতে।
স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পুরো ঘটনাটি আরও একবার খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।
প্রিতি ছাড়াও এই মামলায় এখন পর্যন্ত আটজনের বিবৃতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও ১৪ জনের নাম সাক্ষী হিসেবে দিয়েছেন প্রিতি।
এদের মধ্যে কয়েকজন বিদেশি, যারা প্রিতি এবং নেস উভয়ের বন্ধু। আরও আছেন স্টেডিয়ামের কয়েকজন কর্মী। আগামী কয়েকদিনে এদের সবার সাক্ষ্য নেবে পুলিশ।
তবে এখন পর্যন্ত নেস ওয়াদিয়াকে গ্রেফতার কিংবা কোনো প্রশ্ন করেনি পুলিশ।
বোম্বে ডায়িংয়ের একজন মালিক নেস ওয়াদিয়ার বিরুদ্ধে হয়রানি, অপমান এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন অভিনেত্রী প্রিতি জিনটা।