"তরুণ সমাজ আমার অভিনীত সিনেমা নিয়ে আলোচনা, সমালোচনায় মেতে ওঠেন। ফেইসবুক, ব্লগে তারা আমাকে নিয়ে নানা কথা বলেন। আমার লক্ষ্য, সিনেমাতে তাদের জন্য দেশপ্রেমের বার্তা রাখব। তারা যেন আমার সিনেমা দেখে, দেশকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে পারে, দেশের নানা সমস্যাগুলো নিয়ে নিজেরা উদ্যোগী হয়।"
তরুণ দর্শকদের প্রতি ‘কৃতজ্ঞ' জলিল বলেন, "আমার নতুন সিনেমাতে তরুণ সমাজ কীভাবে মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলবে, তারা কীভাবে উন্নতি করবে, সে গল্পও থাকবে।"
সেই সঙ্গে আরও জানালেন অ্যাকশন ধাঁচের সিনেমা 'মোস্ট ওয়েলকাম টু’তে কীভাবে নিজেই বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন। সিনেমার চূড়ান্ত দৃশ্যের শুটিং করতে তার লেগেছে ১৬দিন। এতে তার সঙ্গে হলিউডের ৪৮ জনের প্রশিক্ষিত একটি দল কাজ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও সিনেমার শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ড ও ভারতে। ভারতের তামিলনাড়ুতে একটি অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং করতে গিয়ে একটি বহুতল ভবনের ২৬ তলা থেকে লাফ দিতে হয়েছে তাকে।
বাংলাদেশসহ ৭টি দেশে মুক্তি পেতে যাওয়া সিনেমাটির মাধ্যমে 'প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা' আসবে বলে মনে করছেন তিনি। বিশ্ববাজারে বাংলা সিনেমা ব্যবসা করতে পারবে বলে বিশ্বাস তার।
জলিল বলেন, "বিশ্বের যেখানে ভালো সিনেমা হয়, যেখানে ভালো নির্মাতা, টেকনিশিয়ান, ভালো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান পাব, সেখানে আমি যাব। বাংলা সিনেমাকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দিতে চাই আমি।"