সোমবার গ্লিটজ ‘গ্যাঁড়াকলে আমি শুধু চেয়েছি তোমায়’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ প্রতিবেদনটি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অফিসিয়াল ফ্যান পেইজে শেয়ার করলে পাঠকরা সিনেমাটি নিয়ে নানা মন্তব্য করেন।
গ্লিটজের পক্ষ থেকে একটি প্রশ্ন করা হয়, “ভারতীয় বাংলা সিনেমা বাংলাদেশের হলে কী দেখতে চান দর্শকরা?”
বেশিরভাগ পাঠকই এ প্রশ্নের জবাবে ‘না’ বলেছেন। তবে বাংলাদেশের সিনেমার মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। আবার কেউ কেউ দর্শকদের সিনেমা দেখার অভ্যাস পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন।
‘ইয়াসমীন আক্তার’ লিখেছেন, “আমাদের দেশে অনেক ভালো ছবি হয়। আমাদের সংস্কৃতি ওদের সাথে মিলে না। আমরা আমাদের দেশে ওদের ছবি চাই না।”
তবে ‘হাবিব রহমান’ এবং ‘ভানু সিংহ’ নিক থেকে সিনেমাটি দেখার পক্ষে মত এসেছে।
‘হাবিব রহমান’ লিখেছেন , “বাংলাদেশের সিনেমা একবারেই নিম্ন মানের। ডিজিটাল যুগে এসব সিনেমা কেউ দেখে? আমরা ভারতীয় ছবি দেখতে চাই।”
‘সায়াম’ বলছেন, “কেন দেখব না ? এটা একটা অসাধারণ ছবি।”
‘আমিনুল ইসলাম’ লিখেছেন, “যারা সিনেমার ব্যাপারে না বলছেন, তারা এমন একটি সিনেমা বানিয়ে দেখান। ভালো মানের সিনেমা হলে সবাই দেখতে যায়। ”
তবে তাদের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ এসেছে ‘মোহাম্মদ ফয়সাল শিকদার’, ‘মাহমুদুর রহমান চৌধুরী’, ‘সারাহ আফরোজ’সহ আরও অনেকগুলো নিক থেকে। ‘মোহাম্মদ রাসেল খান’, ‘রিপন কিসলু’ , ‘নকীবউদ্দিন নয়ন’ ভারতীয় সিনেমা প্রদর্শনের পক্ষে যারা তাদের ভারতে গিয়ে সিনেমা দেখার অনুরোধ করেছেন।
নিজের মন্তব্যের সমর্থনে ‘ভানু সিংহ’ লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সিনেমা হাসার ইচ্ছা হলে দেখতে ইচ্ছা করে। বাংলাদেশের দেখার মতো কিছু প্রোডাকশন হয় যে লোকে দেখবে? শুধু গালিগালাজ করলে হবে?”
স্থগিত নোটিসের তোয়াক্কা না করে সিনেমাটি যে এখনও চলছে, তাতে ভীষণ অবাক হয়েছেন ‘শাহরিয়ার কবির’।
‘আসিফ উজ জামান’ সিনেমার ভারতীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে মুভিজের প্রতি অভিযোগ এনে লিখেছেন, “এটা আসলে বাংলাদেশের টাকা লুট করে সব ভারতে নেওয়ার নতুন একটা পদ্ধতি।”
‘সৌরভ কুমার’ লিখেছেন, “এসকে মুভিজের বুদ্ধি আছে। তাই বাংলাদেশকে ব্যবহার করছে। ”
‘শাহাদাৎ হোসেন শাকিল’ মনে করেন, “অনন্য মামুনের ভাবা দরকার ছিল যে ওরা আমাদের কখনও ভালো চায় না। আর এটা ওদের (ভারতের) নতুন একটা ফাঁদ।”
এসকে মুভিজকে সতর্ক করে ‘নাজমুল আলম’ লিখেছেন, ‘দাদা এটা বাংলাদেশ। চাইলেই যা ইচ্ছা তাই করবেন, অত সহজ না। সীমান্তের ওপাড়েই থাকার চেষ্টা করেন। ”
কেউ কেউ আমাদের দর্শকের অভ্যাসকেও দায়ী করেছেন। সোহেল খান দীপু লিখেছেন, “সিনেমা হলে ভারতীয় সিনেমা প্রদর্শনের ব্যাপারে আপত্তি জানাচ্ছে। কিন্তু ওরা সারাদিন ভারতীয় চ্যানেল দেখে।”
‘আহসান উদ্দিন’ বলছেন ভিন্নকথা। তিনি লিখেছেন, “ভারতের ওসব (সিনেমা) টিভিতে দেখতে ভালো লাগে। টাকা খরচ করে তেমন কেউ যায় না ওসব দেখতে।”
‘এস এম ইউসুফ হোসেন’ লিখেছেন, “এ সিনেমা থেকে শেখার কিছু নেই।”
তবে আহসান ও ইউসুফের মন্তব্যের প্রতিবাদে আমিনুল লিখেছেন, “যারা সিনেমাটি দেখার ব্যাপারে ‘না’ বলছেন, তারা এমন একটি সিনেমা আগে বানিয়ে দেখান। ভালো মানের সিনেমা হলে সবাই দেখতে যায়। ‘না’ বলার আগে ভালোভাবে চিন্তা করুন।”
‘নাঈম খানে’র মতে, মূল সমস্যাটা বাংলাদেশি পরিচালকদের।
তিনি লিখেছেন, “আমাদের পরিচালকদের মাথায় কি কোনো নতুন কাহিনি আছে? আমি মনে করি ভালো পরিচালক, চিত্রনাট্যকার দরকার আছে। আমাদের ভালো শিল্পী আছে। কিন্তু ভালো কাহিনির অভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারছে না।”
‘বাহার লিয়াকত আলী’র এক কথা, “তারা যদি আমাদের সিনেমা সেখানে প্রদর্শন করে, তবেই ওদের সিনেমাগুলো বাংলাদেশে প্রদর্শিত হতে পারে।”
‘মুর্শিদ উজ জামান’ মন্তব্য করেছেন, “আমাদের দেশপ্রেমের অভাব। তাই এ সিনেমাটি নিয়ে আমাদের এত সমস্যা হচ্ছে। সিনেমাটি প্রদর্শনের ব্যাপারে আমরা সাড়া দিচ্ছি।”