উৎসবের প্রথম দিনে প্রদর্শিত হবে দিলীপ কুমার-সুচিত্রা সেন অভিনীত ‘দেবদাস’ সিনেমাটি।
১৯৫৫ সালে বিমল রায় পরিচালিত সিনেমাতে পার্বতী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা সেন। এ সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি।
শনিবার প্রদর্শিত হবে ভারত ভূষণ-সুচিত্রা অভিনীত সিনেমা ‘চম্পাকলি’। সিনেমাটি ১৯৫৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল। রোববার প্রদর্শিত হবে ‘মমতা’। এ সিনেমাতে সুচিত্রার বিপরীতে নায়ক ছিলেন অশোক কুমার।
সোমবার ‘আঁধি, মঙ্গলবার ‘বোম্বাই কা বাবু’, বুধবার ‘জীবন তৃষ্ণা, বৃহস্পতিবার ‘মরণের পরে, শুক্রবার ‘সন্ধ্যা দীপের শিখা’ প্রদর্শিত হবে।
২৬ এপ্রিল, শনিবার ‘ত্রিযামা’ প্রদর্শনীর মাধ্যমে উৎসব শেষ হবে।
১৯৩১ সালের ৬ এ্রপ্রিল তৎকালীন পাবনায় (বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার অন্তর্গত সেন ভাঙ্গাবাড়ি গ্রাম) জন্মগ্রহণ করেন সুচিত্রা। করুণাময় দাশগুপ্ত ও ইন্দিরা দেবীর পঞ্চম সন্তান ছিলেন তিনি। তার স্কুলজীবন কেটেছে পাবনাতে।
১৯৫২ সালে ‘শেষ কোথায়’ সিনেমার মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন সুচিত্রা। কিন্তু সিনেমাটি মুক্তি পায়নি। তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা ‘সাত নম্বর কয়েদি’ মুক্তি পায় ১৯৫৩ সালে। এতে তার বিপরীতে নায়ক ছিলেন সমর রায়।
১৯৫৪ সালে ‘অগ্নিপরীক্ষা’ সিনেমার মাধ্যমে উত্তম কুমারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সুচিত্রা। এরপর তিনি ‘সাড়ে চুয়াত্তর’, ‘শাপমোচন’ , ‘সাগরিকা’, ‘পথে হল দেরি’, ‘হারানো সুর’, ‘সপ্তপদী’, ‘সাত-পাকে বাঁধা’, ‘রাজলক্ষী ও শ্রীকান্ত’, ‘দেবী চৌধুরাণী’, ‘প্রিয় বান্ধবী’-সহ অসংখ্য সিনেমাতে অভিনয় করেছেন।
১৯৭৮ সালে সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর তিনি চলচ্চিত্র থেকে অবসরগ্রহণ করেন। চলতি বছর ১৭ জানুয়ারি কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
সুচিত্রা সেন স্মরণে শিল্পকলা একাডেমি বছরব্যাপী চলচ্চিত্র প্রর্দশনীর আয়োজন করেছে। ৮ জানুয়ারি ‘ট্রিবিউট টু সুচিত্রা সেন’ শিরোনামে এ প্রদর্শনীর প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে সুচিত্রা সেন অভিনীত ৯টি সিনেমা প্রদর্শিত হয়েছিল।