অভিনেতার ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা’ হিসেবে এ তথ্যচিত্রটি পরিকল্পনা করেছেন বলে গ্লিটজকে জানান আবুল হায়াত।
আবুল হায়াত ও তার দল ঘুরে এসেছেন ঠাকুরগা, দিনাজপুর, রংপুর, নীলফামারী, যশোর, বরিশাল, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বগুড়া ও পাবনার বিভিন্ন এলাকা। এলাকাগুলোর ২০১৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৬ জন দরিদ্র মেধাবীকে নিয়ে আলাদাভাবে ১৬টি পর্ব নির্মাণ করেছেন তিনি।
আবুল হায়াত গ্লিটজকে জানান, এ সফরে তিনি প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সরেজমিনে দেখেছেন, অধিকাংশ এলাকার শিক্ষাব্যবস্থা বড় নাজুক। বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা উপকরণ নেই, নেই শিক্ষার পরিবেশ। ডকুমেন্টারিতে সেসব বিষয়ও তিনি তুলে ধরেছেন।
‘মেধাবী দেশের মুখ’ এর প্রথম আয়োজনটি হয়েছিল ২০১১ সালে। এটিই ছিল আবুল হায়াত নির্মিত প্রথম ডকুমেন্টারি। সে আয়োজনে ২৬ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর গল্প তুলে ধরেছিলেন তিনি।
‘মেধাবী দেশের মুখ’ এর পরিকল্পনা ও অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড। এ আয়োজনে তারা দরিদ্র শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা করে।
ডকুমেন্টারি নির্মাণের পাশাপাশি আবুল হায়াত এখন ‘লোটাকম্বল’, ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘তুমি’, ‘পরিবার পরিকল্পনা’, ‘একশ হাত দূরে থাকুন’ শিরোনামে ৫টি ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন।