পরিচালনার পাশাপাশি চলচ্চিত্রটির কাহিনি, চিত্রগ্রহণ, সম্পাদনাও করেছেন খালিদ মাহমুদ মিঠু।
মিঠু গ্লিটজকে জানান, ১৪ এপ্রিল ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাস ও শ্যামলী সিনেপ্লেক্সে একযোগে মুক্তি দেওয়া হবে ‘জোনাকির আলো’।
এর পাশাপাশি একই দিন বিকাল ৩টা ৫ মিনিটে চ্যানেল আইতে ওয়ার্ল্ড টিভি প্রিমিয়ার হবে এ সিনেমার।
সিনেমার চার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন মামনুন হাসান ইমন, বিদ্যা সিনহা মিম, কল্যাণ কোরাইয়া এবং গাজী রাকায়েত। ইমন, মিম ও কল্যাণ অভিনীত চরিত্রগুলোর নাম সুবর্ণ, কবিতা, সমুদ্র। সিনেমার একটি বিশেষ অংশে কিংবদন্তি চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন গাজী রাকায়েত।
সিনেমাটির গল্প এগিয়েছে কবিতা নামের এক সমাজকর্মীকে ঘিরে। কবিতা শিশুদের জন্য নানা কল্যাণমূলক কাজ করেন। তার বন্ধু পাখি গবেষক সমুদ্র তাকে সব ব্যাপারে উৎসাহ দেন।
একপর্যায়ে পরিবারের পছন্দে সুবর্ণর সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় কবিতার। কিন্তু বিয়ের পর সুবর্ণর পরিবারে শুরু হয় নানা জটিলতা। নিরুপায় কবিতা বাধ্য হয় সংসার ছাড়তে।
তাতেও নিস্তার নেই তার। বাড়ি ফেরার পর তার কাজিনের ছেলে পরশকে নিয়ে শুরু হয় নতুন যুদ্ধ। মা হারানো পরশ কবিতার মধ্যে মাকে খুঁজে ফিরে।
কবিতার ফিরে আসার পর সমুদ্র তাকে বিয়ে করতে চান। সুবর্ণও কবিতাকে ফিরিয়ে নিতে আসেন। কিংকর্তব্যবিমূঢ় কবিতা বুঝতে পারেন না, কাকে নিয়ে জীবনের বাকিটা পথ হাঁটবেন।
সিনেমাতে আরও অভিনয় করেছেন দিতি, তারিক আনাম খান, মিতা চৌধুরী, মাসুদ আলী খান, আনিস, শামস সুমন, পুতুল, মৃণাল দত্ত প্রমুখ।
সিনেমাটি নিয়ে বেশকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মিঠু।
তিনি জানান, চলতি বছর মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত হয়েছে সিনেমাটি। তারপর নিউইয়র্ক ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণের জন্যও আবেদন করেছেন তিনি।
এর আগে চলতি বছর জানুয়ারিতে মুম্বাইয়ের অনুষ্ঠিত দ্বাদশ এশিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘অডিয়েন্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড’ জিতে এসেছে সিনেমাটি।
সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম।