শ্বশুরের নিন্দায় টাকিয়া

শ্বশুরের মন্তব্যের নিন্দা করলেন অভিনেত্রী আয়েশা টাকিয়া। কোনো নারী যদি অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে তাহলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন ভারতের সমাজবাদী পার্টির নেতা আবু আজমি। টুইটারে এমন মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন তার পুত্রবধূ আয়েশা টাকিয়া।

ইরা ডি. কস্তাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 April 2014, 11:53 AM
Updated : 12 April 2014, 11:53 AM

এনডিটিভি জানায়, ২০০৯ সালে আবু আজমির ছেলে ফারহানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অভিনেত্রী আয়েশা। শ্বশুরের এমন মন্তব্যের কারণে টুইটারে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

‘ডোর’-খ্যাত ওই অভিনেত্রী বলেন, “আমি আমার শ্বশুরের বিবৃতি শুনেছি। এটি যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে আমি খুবই লজ্জিত। তার এমন মন্তব্য আমাকে এবং ফারহানকে খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে।”

আয়েশা আরও লেখেন, “এটি একজন নারীর প্রতি অত্যন্ত অসম্মানের একটি বিষয়। এ ধরনের মানসিকতা থাকা ঠিক নয়।”

সমাজবাদী পার্টির হয়ে মুম্বাইয়ের উত্তর আসন থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচন করছেন আয়েশার স্বামী ফারহান। তিনিও তার বাবার এ ধরনের মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন।

ফারহান টুইট করেন, “আমি আমার বাবার সঙ্গে কথা বলেছি। ধর্ষণের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিতর্কের অবকাশ নেই। শুধুমাত্র মৃত্যুদণ্ডই এর উপযুক্ত শাস্তি।”

মিড ডের সূত্রে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, আজমি এক বিবৃতিতে বলেন, “বিবাহিত বা অবিবাহিত হোক, সে যদি অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে, সেটা স্বেচ্ছায় হোক বা জোরপূর্বক হোক, তাহলে ওই নারীকেও ফাঁসি দেওয়া উচিত। ওই দুজনকেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত।”

এর আগে সমাজবাদী দলের প্রধান মুলায়াম সিং যাদব, উত্তর প্রদেশে নির্বাচনী প্রচারণায় ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্তকে ফাঁসি দেওয়ার বিষয়টিকে অন্যায্য বলে দাবি করেন। এমনকি নির্বাচিত হলে ওই আইন পরিবর্তন করে ফেলবেন, এমন কথাও বলেন তিনি।

২৭ বছর বয়সী আয়েশা টাকিয়া ১৫ বছর বয়সে একটি বিজ্ঞাপনে কাজের মধ্য দিয়ে ক্যামেরার সামনে আসেন। এরপর তিনি বেশ কিছু মিউজিক ডিডিওতেও কাজ করেন। ‘টারজান- দ্য ওয়ান্ডার কার’ সিনেমার মধ্য দিয়ে ২০০৪ সালে বলিউডে পা রাখেন তিনি। তার অন্যতম হিট সিনেমা হল সালমান খানের বিপরীতে ‘ওয়ান্টেড’।