নিপুণের টার্গেট

ঢালিউডের ব্যস্ত অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারের স্বপ্ন-- এবার কেন্দ্রীয় চরিত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঝুলিতে পুরবেন। এর আগে ২০০৬ সালে শাহ আলম কিরণের ‘সাজঘর’ ও ২০০৯ সালে মোহাম্মদ হোসেনের ‘চাঁদের মতো বউ’ সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে সেরা অভিনয়ের জন্য নিপুণ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন। গ্লিটজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিপুণ জানান, মূল নায়িকা চরিত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার মিললে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তিনি।

জয়ন্ত সাহাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Oct 2013, 10:54 AM
Updated : 6 Oct 2013, 10:54 AM

নিপুণ গ্লিটজকে বলেন, “দুইবার পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। এবার টার্গেট, কেন্দ্রীয় চরিত্রে জাতীয় পুরস্কার। আমার নায়িকাজীবনের এই স্বপ্ন পূরণ হলে বিয়ের পিঁড়িতে বসব।”

আট বছরের ক্যারিয়ারে নিপুণ বিভিন্ন চরিত্রে রূপদান করেছেন। ধনীর দুলালি, গ্রামের সহজ সরল মেয়ে, আবার কখনও প্রতিবাদী নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। নিপুণ এখন অভিনয় করছেন তিনটি সিনেমায়। সিনেমাগুলো হল-- শাহ আলম কিরণের ‘একাত্তরের মা জননী’, ইসমত আরা চৌধুরী শান্তির ‘মায়ানগর’, এম.এ.আওয়ালের ‘কাদের শত্রু’।

আনিসুল হকের উপন্যাস অবলম্বনে শাহ আলম কিরণের ‘একাত্তরের মা জননী’  সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন নিপুণ। সরকারি অনুদানের এ সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করছেন কণ্ঠশিল্পী আগুন। এ সিনেমায় নিপুণ মুক্তিযোদ্ধা নারীর চরিত্রে অভিনয় করছেন। এতে দেখা যাবে একজন সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিপুণ শোনায় একাত্তরের এক সংগ্রামী নারীর দুঃসাহসিক অভিযানের গল্প। এ গল্পে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান বাহিনী নিপুণের বাড়িতে হানা দেয়। নিপুণকে না পেয়ে তার পাঁচ বছর বয়সী বাচ্চাকে নিয়ে যায় ক্যাম্পে। পুত্রস্নেহে কাতর নিপুণ পাকবাহিনীর ক্যাম্পে যায়। সেখানে তিনি নির্যাতিত হন। তারপর তিনি পাকিস্তানিদের ক্যাম্পেই থেকে যান। তিনি গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করেন। ক্যাম্পে ধরে নিয়ে আসা মেয়েদের তিনি সংঘবদ্ধ করেন। তারপর একদিন খাবারে বিষ মিশিয়ে ক্যাম্পের পাকসেনাদের হত্যা করেন।

নিপুণ জানালেন, এই সিনেমার ৪০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ঈদের পর বাকি শুটিং শুরু হবে।

‘মায়ানগর’ সিনেমায় নিপুণ অভিনয় করেছেন বস্তিবাসী এক সরল মেয়ের চরিত্রে। একদিন র‌্যাম্প মডেলিংয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে জীবনের গল্প পাল্টে ফেলেন নিপুণ। জনপ্রিয় মডেলের গুণগানে মুখর হয়ে ওঠে মিডিয়া। 

এ সিনেমার ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ঈদের পর বাকি শুটিং হবে থাইল্যান্ডে।

এম.এ.আওয়ালের ‘কাদের শত্রু’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন নিপুণ। এতে আমিন খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। এতে দেখা যাবে নিপুণ ও তার ভাই বাপ্পারাজ বাবার খুনিকে খুঁজে বেড়ায়।

মোহাম্মদ হোসেনের ‘আই ডোন্ট কেয়ার’ সিনেমাতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন নিপুণ। এ সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করছেন এ প্রজন্মের অভিনেতা বাপ্পী।

এ তো গেল সিনেপর্দার গল্প। নিপুণ টিভিপর্দাতেও সমান ব্যস্ত। কোরবানি ঈদের চারটি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। নাটক চারটি হল এস.এ. হক অলীকের ‘দৈনিক সুখবর-দুঃখবর’, জাহিদ হাসানের ‘প্রীতি ও শুভেচ্ছা’, মাসুদ সেজানের ‘মানি ইজ নো প্রবলেম’, নেয়ামুলের ‘দুয়ে দুয়ে পাঁচ’।

নিপুণ জানালেন, পাঁচটি নাটকই কমেডি ধাঁচের।

ছোটপর্দায় অভিনয় প্রসঙ্গে নিপুণ বলেন, “বড় পর্দার ব্যস্ততা সামলে ছোটপর্দায় অভিনয় চাট্টিখানি কথা নয়। আমার অভিনীত নাটকগুলো দর্শক প্রশংসা কুড়িয়েছে। বড়পর্দার নিপুণ ছোটপর্দাতেও তাদের মন জয় করতে পেরেছে-- এটা আমার বড় পাওনা। আসলে উচ্চতর পড়াশোনা এক্ষেত্রে এগিয়ে রেখেছে আমাকে। আমার পড়াশোনা দুই জগতের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করেছে।”

নিপুণ সম্প্রতি বাপ্পী সাহার পরিচালনায় ‘মডার্ন টেক্সটাইল’-এর একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিং শেষ করলেন।

সামনে ঈদ। নিপুণের ঈদ প্রস্তুতি কেমন-- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “শুটিংয়ের ব্যস্ততায় শপিং করতে পারিনি। এ কদিনের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে শপিং শেষ করে ফেলব। ঈদ ঢাকাতেই করব।”