কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ থেকে ট্রাকে করে একদল শরণার্থীর আশ্রয়ের খোঁজে ছুটে চলা দিয়ে শুরু করে শাহ পরির দ্বীপ দিয়ে আগত আরেকদল শরণার্থীর আগমনের দৃশ্যে দেশ ফেলে আশ্রয় নেয়া অসংখ্য মানুষের দুর্দশা তুলে ধরা হয়েছে পাঁচ মিনিট দৈর্ঘ্যের ‘অ্যা পেয়ার অব স্যান্ডেল’ প্রামান্যচিত্রটিতে।
নির্মাতা জসিম আহমেদ জানান, এতে টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে পানি, খাবার ও আশ্রয়ের অভাবে তৈরি হওয়া মানবিক বিপর্যয়ের গল্প বলা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, প্রামাণ্যচিত্রের শেষ দৃশ্যে নির্মাতা প্রশ্ন রেখেছেন, উপরের দিকে তুলে ধরা একজোড়া স্যান্ডেল কাকে দেখাচ্ছে এই রোহিঙ্গা শিশুটি? মায়ানমার সরকার ও সামরিক বাহিনীকে? নাকি রাশিয়া, চীন ও ভারতসহ সুপার পাওয়ারদের যারা ব্যবসায়িক স্বার্থে বার্মিজ আর্মির গণহত্যাকে অন্ধভাবে সমর্থন করছে? নাকি গোটা পৃথিবীর সকলকে যারা নৃশংস গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নি সংযোগ ও মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ দেখেও চুপ করে বসে আছে?
ইংরেজি ভাষায় এই চলচ্চত্রটির স্ক্রিপ্ট লিখেছেন ফরিদ আহমেদ ও আবহসংগীত করেছেন রিপন নাথ।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বজনমত তৈরিতে প্রামান্যচিত্রটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারের লক্ষ্যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নির্মাতা।
উল্লেখ্য, জসীম আহমেদ নির্মিত ‘দাগ’ চলচ্চত্রটি ৭০তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের শর্ট ফিল্ম কর্ণারে প্রদর্শিত হয় যেটি এখন যুক্তরাজ্য ভিত্তিক শর্ট ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে আমেরিকা ও ইউরোপে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।