‘চলচ্চিত্রের উন্নয়নে প্রয়োজন তিনটা জিনিস-শিক্ষা, শিক্ষা, শিক্ষা’

স্বনামধন্য চলচ্চিত্র নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল। প্রায় তিনযুগের চলচ্চিত্র ভ্রমণে দেশের বড়পর্দায় তিনি তুলে ধরেছেন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। কখনো প্রামান্যচিত্রে কখনো কাহিনিচিত্রের আশ্রয় নিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি নির্মাণ করেছেন সাতচল্লিশের দেশভাগের ওপর প্রামান্যচিত্র ‘সীমান্তরেখা’।  দেশীয় চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে নানা জিজ্ঞাসায় তার মুখোমুখি হয়েছে গ্লিটজ।

রুদ্র হকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Sept 2017, 01:35 PM
Updated : 22 Sept 2017, 01:45 PM

গ্লিটজ: দেশভাগের উপর নির্মিত ‘সীমান্তরেখা’ নির্মাণে অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। সে প্রেক্ষিতে গণঅর্থায়নের ডাকে কেমন সাড়া পেয়েছিলেন ?

তানভীর মোকাম্মেল: ‘সীমান্তরেখা’-র মতো প্রামাণ্যচিত্রের জন্যে তো বাংলাদেশে কোনো প্রযোজক পাওয়া সম্ভব না। তাই আমরা আমাদের নিজেদের সম্পদ দিয়ে ছবিটার প্রায় আশিভাগ শুটিং শেষ করেছিলাম। এরপরে আমাদের অর্থ ফুরিয়ে যায়। তখন আমরা ছবিটার জন্যে গণঅর্থায়নের একটা উদ্যোগ নিই। গণঅর্থায়নে খুবই ইতিবাচক সাড়া পাই এবং আমাদের উদ্যোগটা সফল হয়। আমেরিকা প্রবাসী একজন বাঙালি ডাক্তার  দেবাশীষ মৃধা ও ওঁর স্ত্রী মিসেস চিনু মৃধা সিংহভাগ অর্থটা প্রদান করেন। ‘সীমান্তরেখা’ বাংলাদেশের প্রথম প্রামাণ্যচিত্র যেটা গণঅর্থায়নে বা ক্রাউড ফান্ডিঙে নির্মিত হয়েছে।

গ্লিটজ: ছবিটির নির্মাণ কাজ কি সম্পন্ন হয়েছে ?

তানভীর মোকাম্মেল: বর্তমানে আমরা ছবিটির চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজগুলি করছি। ছবিটি এ মাসে শেষ হবে। আগামী মাসে ছবিটি রিলিজ করা হবে।

গ্লিটজ: দেশভাগের ৭০তম বার্ষিকীতে ছবিটা প্রদর্শনের কথা ভেবেছিলেন । প্রামাণ্যচিত্রটি প্রদর্শনের পরিকল্পনা কী আপনারা চূড়ান্ত করেছেন ?

তানভীর মোকাম্মেল: হ্যাঁ। আমরা অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে ‘সীমান্তরেখা’ ছবিটার প্রিমিয়ার শো করব। তারপর ঢাকার পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে ও শিল্পকলা একাডেমিতে দর্শকদের জন্যে ছবিটির প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, রাজশাহী আর খুলনাতে ছবিটি দেখানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া কলকাতাতেও ছবিটির একটা প্রিমিয়ার শো করা হবে।

গ্লিটজ: আমাদের দেশে প্রামাণ্যচিত্রের বর্তমান অবস্থা, এর সংকট ও সম্ভাবনার দিকগুলো আপনি কেমন অনুভব করছেন ?

তানভীর মোকাম্মেল: যেহেতু বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস ঘটনাবহুল এবং বাংলাদেশ খুবই ধনবৈষম্যের এক দেশ, এছাড়া নদীমাতৃক এ দেশের মানুষের জীবন বৈচিত্র্যময়, ফলে প্রামাণ্যচিত্রের বিষয়ের কোনো অভাব বাংলাদেশে নেই। বরং প্রামাণ্যচিত্রের বিষয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এক খনি বিশেষ।

তবে ভালো প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে প্রধান অন্তরায় হচ্ছে গবেষণার অভাব। প্রামাণ্যচিত্র যে মূলতঃ গবেষণার উপর নির্ভরশীল এবং একটা প্রামাণ্যচিত্র তখনই ভালো হয় যখন গবেষণার দিকটা ভালো হয় এই বোধটাই অনেকের নেই।

নতুন নির্মাতারা প্রথম দিনেই ক্যামেরা নিয়ে ছোটেন, বিষয়টা নিয়ে কোনো রকম গবেষণা ছাড়াই। ফলে তাতে বড়জোর একটা ভালো টিভি রিপোর্টাজ হতে পারে, কিন্তু প্রামাণ্যচিত্র হয় না। প্রামাণ্যচিত্রের মেরুদন্ডটাই হচ্ছে গভীর এবং মননশীল গবেষণা।

আরেক সংকট হচ্ছে অর্থের। কাহিনিচিত্রের জন্যে কিছু প্রযোজক পাওয়া গেলেও প্রামাণ্যচিত্রের জন্যে কোনো প্রযোজক বাংলাদেশে পাওয়া যায় না। এটা বাংলাদেশের প্রামাণ্যচিত্রের জন্যে এক বড় সঙ্কট।

এদেশে প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে আমার প্রায় তিরিশ বছর ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতায় বলতে পারি যে অর্থায়নের সমস্যাটা আসলেই এক বড় সমস্যা এবং এর কোনো সহজ সমাধান নেই।

 

আরেক সমস্যা হচ্ছে প্রামাণ্যচিত্রের প্রদর্শন। আমাদের দেশে বর্তমানে এতগুলি প্রাইভেট টিভি চ্যানেল রয়েছে কিন্তু প্রামাণ্যচিত্র দেখানোর ব্যাপারে তাদের খুবই অনীহা।

প্রামাণ্যচিত্রের গুরুত্বটাই তারা বোঝে না। অথচ বিদেশের সব ভালো টেলিভিশন চ্যানেল প্রামাণ্যচিত্র কেবল নিয়মিত দেখায়ই না, প্রামাণ্যচিত্র প্রযোজনাও করে। কিন্তু এদেশের প্রথম প্রজন্মের টিভি মালিকরা এতই অশিক্ষিত যে তাদের এ ব্যাপারে কোনো ধারণাই নেই।

একটা উদাহরণ দিই। একবার টেলিভিশন মাধ্যমটা মোটামুটি বোঝেন প্রাইভেট টেলিভিশনের এরকম এক কর্মকর্তাকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম “আপনারা প্রামাণ্যচিত্র দেখান না কেন ?” “ডকুমেন্টারী!” বলে তিনি এমন একটা মুখভঙ্গী করলেন যেন এটা খুবই অচ্ছুৎ কোনো বিষয়।

আমি ওঁকে বললাম “পৃথিবীর বড় বড় টিভি চ্যানেলগুলো, বিবিসি, ডিসকভারী, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, হিস্ট্রি চ্যানেল, এসব টিভি চ্যানেল নিয়মিত প্রামাণ্যচিত্র দেখায়।” তখন উনি বললেন, “এই তো আপনাদের দোষ! শুধু বিদেশের কথা বলেন।” তখন আমি বললাম, “বিদেশ কেন, আপনি শান্তিনগর যান, মালিবাগ যান, উত্তরা যান, দেখবেন মানুষ এসব চ্যানেলই দেখছে।” তখন উনি অবশ্য কথাটা মানলেন।কিন্তু যোগ করলেন, “আমরা কী করব ? বিজ্ঞাপনদাতারা তো প্যাকেজ নাটক ছাড়া বিজ্ঞাপন দিতে চায় না।”

এখন বিজ্ঞাপনদাতাদের তো তাদেরকেই বোঝাতে হবে। আসলে টিভি চ্যানেলগুলির প্রথম প্রজন্মের মালিক ও কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে শিক্ষা ও বোধের অভাব আছে। অথচ ভালো প্রামাণ্যচিত্র দেখালে জনগণ যে কতটা আগ্রহভরে তা দেখে থাকেন সে অভিজ্ঞতা আমার আছে।

তাজউদ্দীন আহমেদের উপর নির্মিত আমাদের “নিঃসঙ্গ সারথি” ছবিটা যখন একটা টিভি চ্যানেল দেখায় তখন ওই চ্যানেলের লোকজনই আমাকে জানিয়েছিলেন যে তারা দর্শকদের কাছ থেকে এত বেশি, প্রায় পাঁচ হাজারের মতো, ই-মেইল পেয়েছিলেন যে তাদের সার্ভারটাই জ্যাম হয়ে গিয়েছিল!

গ্লিটজ: ‘রূপসা নদীর বাঁকে’ চলচ্চিত্রের জন্যে অনুদান পেয়েছেন। চলচ্চিত্রটি নির্মাণের অগ্রগতি সম্পর্কে যদি বলেন..

তানভীর মোকাম্মেল: বর্তমানে আমরা চলচ্চিত্রটি নির্মাণের প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছি। এই শীতের শেষে আমরা ‘রূপসা নদীর বাঁকে’-র শুটিং শুরু করব। বর্তমানে আমরা ছবিটির লোকেশন ও কাস্টিং চূড়ান্ত করছি।

গ্লিটজ: অনুদানের অর্থকে পর্যাপ্ত মনে করছেন  ? চলচ্চিত্রটি নির্মাণে বেসরকারি লগ্নী থাকছে  ?

তানভীর মোকাম্মেল: সরকার যে অর্থ দেয় তাতে পুরো ছবিটা শেষ করা যায় না। বাকি অর্থটা নানাভাবে সংগ্রহ করতে হয়। তারপরও বলব অনুদানের ব্যবস্থাটি ভালো। ছবিটার শুটিং শুরু ও তা অনেকখানি এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অনুদানের অর্থটি খুবই সহায়ক হয়। ‘রূপসা নদীর বাঁকে’-র বাকি অর্থায়নের জন্যে আমি সহ-প্রযোজক খুঁজছি।

গ্লিটজ: ১৯৭১-য়ের প্রেক্ষিতে একজন  বামপন্থী নেতাকে ঘিরে চলচ্চিত্রটির গল্প। কেন এ প্লটটি বেছে নিলেন ?

তানভীর মোকাম্মেল: এদেশে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজপ্রগতির আন্দোলনে বামপন্থীদের অনেক ভূমিকা ছিল। কিন্তু তাদের কথা কেউ তেমন বলে না। কিছু কিছু বামপন্থী নেতার ত্যাগ-তিতীক্ষা ও সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল প্রবাদতুল্য।

বৃটিশ ও পাকিস্তান আমলে এরা কেউ কেউ বিশ-পঁচিশ বছর জেল খেটেছেন। এ ধরণের কিছু পুরনো বামপন্থী নেতাকে আমি কাছ থেকে দেখেছি। তাদেরই একজনের কাহিনি এটি। এ মানুষটিকে ১৯৭১ সালে রাজাকাররা গুলি করে মেরে ফেলে।

এ ধরণের মানুষদের আমার গ্রীক ট্রাজেডির চরিত্রের মতো মনে হয়। পরিস্থিতি ও ভাগ্য যেন তাদের বিরুদ্ধে ছিল। তারা সব কিছু করলেন, এদেশের জনগণের জন্যে অশেষ ত্যাগ করলেন, কিন্তু কোনো স্বীকৃতি পেলেন না।

গ্লিটজ: মুক্তিযুদ্ধ আপনার চলচ্চিত্রে বারবার এসেছে। ‘রূপসা নদীর বাঁকে’ চলচ্চিত্রে  ’৭১ কোন্ দৃষ্টিকোণ থেকে ধরা দেবে আমাদের সামনে ?

তানভীর মোকাম্মেল: ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এক মহাকাব্যিক ব্যাপার। অসংখ্য ঘটনা, অসংখ্য মানুষ এতে জড়িত ছিলেন। এ ছিল প্রকৃতই এক জনযুদ্ধ। ‘রূপসা নদীর বাঁকে’ ছবিটি ঠিক মুক্তিযুদ্ধের ছবি নয়। তবে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টি আছে। মুক্তিযুদ্ধকে এ ছবিতে দেখা হয়েছে বামপন্থার দৃষ্টিকোণ থেকে।

গ্লিটজ: অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে কারা কারা থাকছে এ চলচ্চিত্রে ?

তানভীর মোকাম্মেল: বর্তমানে আমরা ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রী বাছাই করছি। আগামী মাসে আমরা আপনাদের এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব।

গ্লিটজ: চলচ্চিত্রটির শুটিং লোকেশন ও একাত্তরের প্রেক্ষাপট নির্মাণে কী কী আয়োজন থাকছে ?

তানভীর মোকাম্মেল: ‘রূপসা নদীর বাঁকে’ ছবিটির প্রেক্ষাপট বেশ বড়। সেই বৃটিশ আমলের অনুশীলন-যুগান্তরের সময়কালের স্বদেশী আন্দোলন থেকে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত। ছবিটা একটা যথার্থই পিরিয়ড ফিল্ম হবে। আয়োজনের মধ্যে থাকছে বৃটিশ বিরোধী স্বদেশী আন্দোলন, পঞ্চাশের মন্বন্তর, তেভাগা আন্দোলন, হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা, পাকিস্তান সৃষ্টি, ভাষা আন্দোলন, খাপড়া ওয়ার্ডে বামপন্থীদের হত্যা থেকে ষাট দশকের গণআন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ শুরুর দিনগুলো পর্যন্ত। ফলে আয়োজনটা বেশ বড়ই ! মূল শুটিংটা হবে খুলনার গ্রামাঞ্চলে। তবে জেলের ভেতরেও অনেক শুটিং হবে।

গ্লিটজ: সেনাবাহিনীর কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হচ্ছে  ?

তানভীর মোকাম্মেল: না, এ ছবিটির জন্যে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন পড়ছে না। তবে পুলিশবাহিনীর প্রয়োজন পড়বে।

গ্লিটজ: দেশের চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ জানতে চাইছি।

তানভীর মোকাম্মেল: মূলধারার বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র সম্পর্কে বলবার জন্যে আমি যোগ্য মানুষ নই। আমার এ ব্যাপারে তেমন কোনো গবেষণা নেই এবং আমি ঠিক ওই ঘরানার নির্মাতাও নই। আমি বরং আমাদের বিকল্পধারার চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কিছু বলি।

বাংলাদেশের বিকল্পধারার চলচ্চিত্র বর্তমানে বেশ সঙ্কটে আছে। তরুণেরা সেভাবে এই ধারায় আসছে না। দেশী-বিদেশী কর্পোরেট পুঁজি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে ঢুকছে। তরুণেরা বরং সেসবে বেশি আকর্ষিত হচ্ছে। তাছাড়া বিকল্পভাবে ছবি তৈরি ও তা বিকল্পভাবে দেখানো বেশ কষ্টসাধ্য এক ব্যাপার। সাংগঠনিক কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলে সেটা তেমন সম্ভবও নয়।

এটা অনেকটাই আদর্শবোধ ও আত্মত্যাগের ব্যাপার। কিন্তু যেহেতু দেশে বামপন্থী আন্দোলন দুর্বল হয়ে পড়েছে ফলে বিকল্প সিনেমার আন্দোলনকে এগিয়ে নেবার মতো সেরকম আদর্শবাদী ও ত্যাগ করতে প্রস্তুত তরুণদেরও ইদানীং আর তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বর্তমানে বাংলাদেশের বিকল্প সিনেমা কিছুটা সঙ্কটেই আছে।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে প্রয়োজন তিনটে জিনিস-শিক্ষা, শিক্ষা, শিক্ষা। চলচ্চিত্র শিক্ষার ব্যাপক প্রসার প্রয়োজন। সরকার একটা ফিল্ম   ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন। আরো ফিল্ম   ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা দরকার যেখানে তরুণ-তরুণীরা চলচ্চিত্র নির্মাণের কলাকৌশল এবং চলচ্চিত্রের ভাষা ও নন্দনতত্ত্ব শিখতে পারে।

এছাড়া ঢাকা শহরে কলকাতার ‘নন্দন’-এর বা লন্ডনের ‘ন্যাশনাল ফিল্ম  সেন্টার’-এর মতো একটা ন্যাশনাল ফিল্ম সেন্টার গড়ে তোলাটা জরুরি যেখানে দেশ-বিদেশের ধ্রুপদ চলচ্চিত্রসমূহ দেখানো হবে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ও রেট্রোস্পেক্ট্রিভ সমূহ অনুষ্ঠিত হবে। তাহলেই এদেশের জনগণের চলচ্চিত্র সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্র রুচি সমৃদ্ধ হবে। সেটা হলে ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ হওয়া সম্ভব হবে।