ইতিমধ্যে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে থাকছেন প্রযোজক নাসিরউদ্দিন দিলু ও পরিচালক কাজী হায়াৎ। শুধু অভিনতা আর নির্মাতাই নয়, হলমালিক, হলবুকিং এজেন্ট, প্রযোজক থেকে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পেশাজীবীরাও থাকছেন কমিটিতে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানানো হবে বলে জানালেন কাজী হায়াৎ।
এত জোট থাকতে আবার নতুন জোট কেন?
কাজী হায়াৎ বললেন, “চলচ্চিত্র পরিবারের ‘বহিষ্কারের সংস্কৃতি’র বিপরীতে আমরা জোট করছি।”
আরো খানিকটা ব্যাখ্যা করলেন তিনি, “পৃথিবীতে কমিটি কেন হয়? একা যাতে কাউকে লড়তে না হয়। মূলত সমমনা মানুষগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্যই জোটবদ্ধ হয় । ইদানীং আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে বহিষ্কার সংস্কৃতি চালু হয়েছে। এ কারণেই নতুন কমিটির প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে।”
জুলাইয়ে শাকিব খানের সঙ্গে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চলচ্চিত্র পরিবার। ফলে কোনো সিনেমায় শুটিং করতে পারেননি তিনি। হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিয়ে উত্তম আকাশের ‘আমি নেতা হব’ নামে একটি চলচ্চিত্রের শুটিং শুরু করেছেন চলতি মাসে। সহশিল্পী হিসেবে আছেন ওমর সানি, মৌসুমী, বিদ্যা সিনহা মিমসহ আরো অনেকে।
শাকিবের সঙ্গে কাজের অভিযোগ তুলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ছবিটির দশ বারোজন অভিনয়শিল্পীর সদস্যপদ স্থগিত করেছে বলে অভিযোগ উঠে। যদিও শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর অভিযোগ অস্বীকার করেন। তারপরও বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ‘আমি নেতা হব’ সিনেমার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
বিষয়টি নিয়ে কাজী হায়াৎ বললেন, “শাকিবের মতো স্টারকে এই ইন্ডাস্ট্রি বঞ্চিত করেছে। শাকিবের সঙ্গে অনেক সহযোদ্ধা আছে। তারা শাকিবকে ছেড়ে চলে যাবে নাকি? শাকিবের সঙ্গে অভিনয় করলেই শিল্পীদের তাড়িয়ে দিচ্ছে। তারা কী করবে? তাদের তো আশ্রয় দরকার।”
আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই নির্মাতা বললেন, “শাকিব ছাড়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি আছে এখন? তাহলে তাকে বহিষ্কার করে দিলে আর ফিল্ম থাকলো? শাকিব রাগ করে ফিল্ম ছাড়লে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ক্লোজ হয়ে যাবে। হলমালিকরা হল বন্ধ করে বাড়ি চলে যাবে।”
নতুন জোট নিয়ে কী বলছে চলচ্চিত্র পরিবারের সমমনা অভিনেতারা?
সোহেল রানা গ্লিটজকে বললেন, “বরিশাল-ঢাকা রুটে অনেকে লঞ্চ চালানোর অনুমতি পায় না। তাই বলে বাকিরা কী আরেকটা কমিটি করে ফেলে? আর শাকিবকে তো আমরা বহিষ্কার করিনি। তার সঙ্গে আমরা কাজ করছি না। নিজেরা নিজেদের শাস্তি দিচ্ছি। এর সবকিছুর মূলে হলো যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রে অনিয়ম। ছবি ফিফটি ফিফটি নিয়মে হলে তো এতো ঘটনাই ঘটত না।
আর কাজী হায়াৎ এটিকে বঞ্চিত কেন বলছেন? সে হিসেব করতে গেলে তিনি যখন দশটা সিনেমা করেছে তখনও তো নতুন নির্মাতা বঞ্চিত হয়েছেন। বঞ্চিত কোনো বিষয় না। কোয়ালিটি দিয়েই আমাদের টিকে থাকতে হবে।”