শ্রমিকের ঐক্যের অধিকার নিয়ে নির্মিত হয়েছে প্রামান্যচিত্র ‘শ্রমিক আওয়াজ’। এতে শ্রমিকরা কথা বলেছেন কর্মক্ষেত্রে নিজেদের সমস্যা-সংকট নিয়ে মালিকদের সাথে আলাপ-আলোচনার জন্য তাঁদের ঐক্যের অধিকার নিয়ে।
একতাবদ্ধ হওয়ার এ অধিকার যে মালিক-শ্রমিক তথা ইন্ডাস্ট্রিরই অধিক লাভের বিষয় তা-ই শ্রমিকদের কণ্ঠে এ প্রামান্যচিত্রে উঠে এসেছে। ২০১৩ সালে রানা প্লাজায় শ্রমিক হত্যার পর সারা দেশে তো বটেই, সারা পৃথিবী থেকে বাংলাদেশের শ্রমিকদের স্বার্থে এ দাবী ওঠে।
‘শ্রমিক আওয়াজ’-এ উঠে এসেছে শ্রমিকদের পেশা ও জীবনের নানা প্রসঙ্গ-অনুষঙ্গ।-এমনটাই জানালেন এর নির্মাতা মোহাম্মদ রোমেল। পরিচালনার পাশাপাশি এর চিত্রগ্রহণ এবং সম্পাদনাও করেছেন তিনি। এটি প্রযোজনা করেছেন সমতলী হক। গণঅর্থায়নের মাধ্যমে ২০১৫-১৬ সালে দু’বছর ধরে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় এই ছবির দৃশ্যায়ন হয়।
দেশে প্রদর্শনের পাশাপাশি চলচ্চিত্রটি সম্প্রতি বেশকিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রদর্শিত হয়েছে। এবার এটি প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে এশিয়ার সম্মানজনক ডক্যুমেন্টারি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ‘ফিল্ম সাউথ এশিয়া ২০১৭’-র ১১তম আসরে। দুই বছর পরপর আয়োজিত এ উৎসবের চলতি আসরে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘শ্রমিক আওয়াজ’সহ ৪৬টি চলচ্চিত্র স্থান পায়। নেপালের কাঠমান্ডুতে এ উৎসব চলবে ২ থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত।
পরিচালক মোহাম্মদ রোমেল জানান, “বাংলাদেশে এই ছবির প্রায় ১২ টি পাবলিক শো হয়েছে নানান জায়গায়। সামনে সারা দেশে আরো শো চলতেই থাকবে। ইতিমধ্যেই ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে কয়েকটি শো হয়েছে। বিশেষ করে শ্রমিকরা উদ্যোগ নিয়ে তাঁদের আবাসিক এলাকায় এবং ফোরামে এই ছবির শো করেছেন। ছবি দেখে অনেক শ্রমিক আবেগ তাড়িত হন নিজেদের রিয়েল লাইফ দেখে। এটা দেখে আমাদের ভাল লাগে, আমরা মনে হয় যে শ্রমিকদের রিয়েল লাইফটা ছবিতে তুলে আনতে পেরেছি।”
নির্মাতা জানান, ‘শ্রমিক আওয়াজ’ ছবির নির্মাণ প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত সকলের প্রত্যাশা এই ছবি সরকার, মালিক এবং জনগণের মধ্যে শ্রমিকদের বিষয়ের সঠিক নীতি প্রণয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
এদিকে, আসছে অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য ‘অ্যানুয়েল কনফারেন্স অব সাউথ এশিয়াতেও প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে চলচ্চিত্রটি। এ আয়োজনের ৪৬তম আসরে অংশ নেবেন ৮৫০ স্কলার, সরকারি কর্মকর্তা, ছাত্র ও নানা ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা।