উত্তম কুমারের ৯১ তম জন্মদিনে গ্লিটজ নির্বাচিত সেই সময়ের আটটি গান নিয়ে সাজানো হলো এই প্রতিবেদন।
এই পথ যদি না শেষ হয়
১৯৬১ সালের ‘সপ্তপদী’ উত্তম-সুচিত্রা জুটির ক্লাসিক সিনেমাগুলোর একটি। আর ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ গানটি এই জুটির চিরসবুজ গানের একটি। গোধূলিবেলায় মোটরসাইকেলে করে প্রেমিকাকে নিয়ে ছুটে চলার এই গানটি সেই অর্থে বাংলা চলচ্চিত্রেরই সেরা জার্নি সং হওয়ার দাবি রাখে।
আমি যামিনী তুমি শশী হে
ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে বাংলা ভাষার ফিরিঙ্গি কবি অ্যান্টনির জীবনভিত্তিক এ চলচ্চিত্রটিতে নাম ভূমিকায় অসামান্য অভিনয় করেন উত্তম কুমার। বাংলায় পিরিয়ডিক্যাল বায়োপিকের অন্যতম সেরা উদাহরণ এই ছবি। ১৯৬৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটির পরিচালক ছিলেন সুনীল ব্যানার্জি। সংগীত পরিচালনা করেন অনিল বাগচী। এই সিনেমার সবগুলো গানই ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছিল। এরমধ্যে মান্না দে’র কণ্ঠে গাওয়া এই গানটির আবেদন ছিল একেবারেই আলাদা।
গানে ভুবন ভরিয়ে দেব
উত্তম কুমার ও তনুজা অভিনীত অন্যতম রোমান্টিক সিনেমা ‘দেয়া নেয়া’র গান এটি। ১৯৬৩ সালের এই সিনেমার সংগীত পরিচালক ছিলেন শ্যামল মিত্র। গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের কথায় এই গানে কণ্ঠও দেন তিনি।
কি আশায় বাঁধি খেলাঘর
১৯৭৫ সালের রঙিন ছবি ‘অমানুষ’-এ উত্তম কুমারের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। কিশোর কুমারের গাওয়া এই গানটির একটি হিন্দি সংস্করণও রযেছে, ‘দিল অ্যায়সা কিসি নে মেরা তোড়া’ শিরোনামে।
বাঁচাও কে আছো মোরে
উত্তম-মাধবী জুটির ১৯৭১ সালের ‘ছদ্মবেশী’ সিনেমার গান এটি। সুধীন দাশগুপ্তর সুরে এই গানেও কণ্ঠ দিয়েছিলেন মান্না দে।
এবার মরলে সুতো হব
সাবিত্রী চ্যাটার্জীর সঙ্গে অভিনীত ‘মৌচাক’ সিনেমার গান এটি। হালকা মেজাজের এই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন মান্না দে।
আজ বুঝি পাখিরা
অপর্ণা সেনের বিপরীতে উত্তম কুমারের জনপ্রিয় একটি ছবি ‘মেম সাহেব’। এই সিনেমার অন্যতম রোমান্টিক গান এটি। মান্না দে এবং অসীমা চ্যাটার্জী’র কণ্ঠের যুগলবন্দী গানটিকে দিয়েছে অনন্য এক মাত্রা।
দেখুক পাড়াপড়শিতে
‘বন পলাশীর পদাবলী’ সিনেমায় সুপ্রিয় দেবীর সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন উত্তম কুমার। এই সিনেমার দারুণ একটি হাস্য-রসাত্মক গান ‘দেখুক পাড়াপড়শিতে’ গানটি। গানটি গেয়েছেন শ্যামল মিত্র।