নায়করাজের প্রস্থানে তাই শোকে মুহ্যমান ‘ঝন্টু আর্ট পাবলিসিটি’র প্রতিষ্ঠাতা রফিকুল হক।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “রাজ্জাক সাহেব ছিলেন আমার কাছে পিতৃতুল্য। পরিবারের একজন মনে করতেন আমাকে। আমার কাজের হাতেখড়ি তার কাছে। ৭৪ সালে যখন তার প্রোডাকশন শুরু হয় তখন থেকে বাবা কেন চাকর পর্যন্ত সব কাজ করেছি।”
“তার সাথে আমি প্রচুর কাজ করেছি। ‘রংবাজ’, ‘বেঈমান’, ‘চাপাডাঙ্গার বউ’, ‘অভিযান’, ‘প্রফেসার’, ‘রাজমিস্ত্রি’, ‘বদনাম’, ‘অবুঝ মন’, ‘ময়নামতি’, ‘অবাক পৃথিবী’, ‘লাইলী মজনু’, ‘বধূ বিদায়’, ‘শিরি-ফরহাদ’... সব নাম এই মুহূর্তে মনেও করতে পারছি না। বহু ছবিতে কাজ করেছি।”
সিনেমার পোস্টার ডিজাইন, বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে প্রচারের সব কাজই করেছেন রফিকুল হক।
স্মৃতিচারণ করে ঝন্টু আরও বলেন, “রংবাজ ছবিতে আমাকে পোস্টার আঁকার কাজ দিয়েছিলেন রাজ্জাক সাহেব।১০০ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলাম।”
সোমবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান রুপালি পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা রাজ্জাক।
পাঁচশ’র বেশি চলচ্চিত্রের অভিনেতা আবদুর রাজ্জাক বাংলাদেশের মানুষের কাছে নায়করাজ নামেই খ্যাত ছিলেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সাদা কালো যুগ থেকে শুরু করে রঙিন যুগ পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেন রাজ্জাক। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে প্রায় ২৫ বছর প্রায় একাই টেনে রেখেছিলেন এই চিত্রনায়ক।