চিত্রনায়িকা ববিতা অশ্রুভারাক্রান্ত কন্ঠে বললেন:
“বিশ্বাসই করতে পারছি না। ছয় সাতদিন আগেই উনার সঙ্গে কথা হলো। বললেন, আমি তো থাইল্যান্ড থেকে ঘুরে এলাম। হেসে হেসে আলাপ করলেন। উনি যে অসুস্থ এটা একবারও মনে হয়নি আমার। কিন্তু আজকে কী শুনলাম! হুট করেই চলে গেলেন। মেনে নিতে পারছি না। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি এটি।”
চিত্রনায়ক রাজ্জাকের মৃত্যুর খবরে বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন তার সহঅভিনেত্রী নায়িকা সারাহ বেগম কবরী:
তিনি বললেন, “এতোদিন ধরে কাজ করছি। বিশ্বাসই হচ্ছেনা। যদিও ইদানিং কথাবার্তা কম হতো। ভাবছিলাম তার বাসায় যাব। কেমন যেন সময় হচ্ছিল না। অনেক দিন দেখা হয়নি।
বিশ্বাস হচ্ছে না। তার আতমার মাগফেরাত কামনা করি। খুবই কষ্ট হচ্ছে।”
মনতাজুর রহমান আকবর বললেন:
“উনাকে ভীষণ দরকার ছিল। শ্বাসকষ্টজনিত কারণে এভাবে চলে যাবেন ভাবতে পারিনি। এই তার অভাবটা কোনোদিনই পূরণ হবার নয়।”
বাংলা চলচ্চিত্র ইতিহাসে তাঁর অবদান অম্লান হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করলেন সোহেল রানা:
তিনি বললেন, “মাস ছয়েক আগে উনার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তারপর আর দেখা হয়নি। হঠাৎ আজকে খবরটি শুনে থমকে গেলাম। উনি বাংলা চলচ্চিত্রের গুরুত্বপূর্ণ একজন আর্টিস্ট। সবার শ্রদ্ধাভাজন শিল্পী। তার শূন্যতা সহজেই পূরণ হওয়ার নয়। তিনি নিজে সংগ্রাম করে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রকে দৃঢ় অবস্থানে নিয়েছেন। বাংলা চলচ্চিত্র ইতিহাসে উনার অবদান অম্লান হয়ে থাকবে।”
আরেক অভিনেত্রী চম্পা বললেন, “আমাদের মাথার উপর থেকে ছায়া চলে গেল।”
সঙ্গে আরো যোগ করলেন, “মাসখানেক আগেও একবার আইসিইউতে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। উনাকে দেখতে গিয়েছিলেন। দেখা হতেই আবেগে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরে রাখলেন কিছুক্ষণ। আর হাসছিলেন তিনি। সেই বুকে জড়িয়ে ধরাটা ফিলিংসটা এখনো মনে পড়ছে। আমাদের মাথার উপর থেকে ছায়া চলে গেল। উনি বন্ধু, উনি আমাদের পিতার সমতুল্য। খবরটা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। সকালেও সুস্থ ছিলেন তিনি।”