ভাস্কর নভেরা হয়ে মঞ্চে ফের দোলা

বাংলাদেশের প্রথম নারী ভাস্কর প্রয়াত নভেরা আহমেদের জীবনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘নভেরা’। আগামী ২২ অগাস্ট সন্ধ্যা ৭টায় শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে নাটকটি।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 August 2017, 12:23 PM
Updated : 21 August 2017, 12:23 PM

হাসনাত আবদুল হাইয়ের লেখা ‘নভেরা’ ও বেঙ্গল প্রকাশনীর ‘নভেরা আহমেদ’ বইটিসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিবেদন, নিবন্ধ, পরিচিতজনদের সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে ‘নভেরা’ নাটকটি রচনা করেছেন সামিউন জাহান দোলা।

শুধু তাই নয়, ঢাকা থিয়েটারের নাট্যকর্মী ও ধ্রুপদী অ্যাক্টিং অ্যান্ড ডিজাইনের পরিচালক দোলা, মহান এই শিল্পীর জীবনসংগ্রামের গল্প একক অভিনয়ে ফুটিয়ে তুলছেন নিজেই।

২০১৫ সালের ৬মে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত টানা ৪৫ বছর প্যারিসে বসবাস করেন নভেরা আহমেদ। এর মধ্যে একবারও দেশে ফেরেননি বিংশ শতাব্দীর এই প্রথম বাংলাদেশী আধুনিক ভাস্কর।

মঞ্চে তার চরিত্রটি রূপায়নের অভিজ্ঞতা গ্লিটজকে জানান দোলা। সোমবার দুপুরে দোলা গ্লিটজকে বললেন, “চরিত্রটি করতে আমাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কেননা ওনার কোনো সাক্ষাৎকার বা ভিডিও ডকুমেন্টেশন নেই আমাদের কাছে। একজন শিল্পীর মননই তো ওনার কাজে প্রতিফলিত হয়। ওনার ভাস্কর্য-পেইন্টিংস থেকে ওনার সাইকো-এনালাইসিস করতে হয়েছে। সেভাবেই ওনাকে মঞ্চে তুলে ধরেছি।”

নাটকটি প্রসঙ্গে দোলা বলেন, “চরিত্রের ক্ষেত্রে আমরা যেরকম বলছি উনি অনেক অভিমানী ছিলেন আসলে তা নয়। ওনার মেরুদন্ডটা অনেক সোজা ছিলো। উনি হয়তো আপোষ করতে পারেননি। নিশ্চয়ই দেশের প্রতি তার টান ছিলো। কিন্তু তিনি ফেরেননি। এই যে একরোখা আচরণ এবং দৃঢ়তা এটা খুব কঠিন। অস্বীকৃতির জ্বালায় তিনি ভোগেন নি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি তার কাজগুলো করে গেছেন।

১৯৫৮ সালে তিনি শহীদ মিনারের নকশা করলেন কিন্তু তাকে একুশে পদক দেয়া হলো ১৯৯৭ সালে। একটি জাতির ওনাকে স্বীকৃতি দিতে এতগুলো সময় লাগলো। অনেকেই হয়তো অভিমান করে কাজ বন্ধ করে দেয়। উনি কিন্তু তা করেননি। একজন শিল্পীর এটাই কাজ। আমি চেষ্টা করেছি মঞ্চে ওনার কাজগুলোকে ফোকাস করতে।”

‘ধ্রুপদী অ্যাক্টিং স্পেস’এর প্রযোজনায় নভেরা নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন সাজ্জাদ রাজীব। আলোক পরিকল্পনায় আছেন ওয়াসিম আহমেদ এবং সংগীত পরিচালনা করেন কেয়া চৌধুরী জুঁই।