ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, ২৬ জুলাই আদালতে উপস্থিত হয়ে নিজেকে সঞ্জয় গান্ধীর মেয়ে পরিচয় দেন প্রিয়া সিং পল। আবেদনে তিনি অভিযোগ করেন, ‘ইন্দু সরকার’ সিনেমায় অনেক ‘অবমাননাকর’ বিষয় দেখানো হয়েছে যা ইন্দিরা গান্ধী ও সঞ্জয় গান্ধীর ব্যক্তিত্বকে খাটো করতে পারে।”
যদিও আদালতে এ আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, “গান্ধী পরিবারের কোনো ‘পরিচিত ও স্বীকৃত’ বংশধরের আপত্তি না থাকায় ২৮ জুলাই নির্ধারিত দিনেই মুক্তি দেওয়া হবে এ ছবিটি।
সেন্সর বোর্ডে মুক্তি মিললেও কংগ্রেস নেতাদের তোপের মুখে মুক্তি নিয়ে সংশয় তৈরি হয় মধুর ভান্ডারকরের এ সিনেমাটির। ২৪ জুলাই দেশটির উচ্চ আদালতের রায়ে, ২৮ জুলাই মুক্তির নির্ধারিত দিনেই, সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার রায় দেয়। সে সময় আদালতের রায়ে আরও বলা হয়েছিলো গান্ধী পরিবারের কারও এ সিনেমা নিয়ে কোনো আপত্তি নেই।
এ প্রসঙ্গে পরিচালক মধুর ভান্ডারকর বলেন, “ভারতের জরুরি অবস্থা নিয়ে আমি দীর্ঘদিন ধরে কিছু গবেষণা করেছি আর তারই ভিত্তিতে এ সিনেমাটি তৈরি করা হয়েছে। জরুরি অবস্থাকে পটভূমি করে আমি একটি রাজনৈতিক গল্প বলেছি। মত প্রকাশের স্বাধীনতা তো সবারই থাকা উচিত।
১৯৭৫ সালে ভারতের জরুরি অবস্থা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ‘ইন্দু সরকার’। এতে কোনো বিশেষ ব্যক্তিত্বের নাম উল্লেখ করা না হলেও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও তার ছেলে সঞ্জয় গান্ধীকে এ সিনেমায় ‘বিতর্কিত’ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।