প্রথম অর্জন

চলচ্চিত্রে দেশের সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার, ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’। ১৯৭৫ সাল থেকে এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। গতকাল (২৪ জুলাই) উৎসবের আমেজে নির্বাচিতদের হাতে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৫’ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা। এবারই প্রথম পুরস্কার পেলেন রিয়াজুল মওলা রিজু, মাসুম রেজা, তমা মির্জা ও  ইরেশ যাকের । পুরস্কারকে ঘিরে গ্লিটজকে জানালেন নিজেদের অনুভূতি।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2017, 12:05 PM
Updated : 25 July 2017, 12:05 PM

আমি খুবই নার্ভাস ছিলাম: রিয়াজুল রিজু

শ্রেষ্ঠ পরিচালক, ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’

পুরস্কার নেয়ার আগে আমি খুবই নার্ভাস ছিলাম। আশেপাশে অনেকে অনেক রকম কথা। কেউ বলছিল, এতো বাচ্চা ছেলে! অনেকে বলছিল, দেশের সবচেয়ে কম বয়সে পুরস্কার পেয়েছি। কেউ আবার বলছে, উপমহাদেশের সবচেয়ে কম বয়সে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি! ব্যাপারটা এতোদূর এগিয়ে যাবে আমার ধারণা ছিল না। আমি ধ্যান-জ্ঞান দিয়ে শুধু কাজটাই করেছি ।

এটাকে পূর্ণতা মনে করি: মাসুম রেজা

শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার, ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’

এটাকে পূর্ণতা মনে করি আমি। কারণ সাধনার মতো করে শিল্প চর্চা করি। আমি মনে করি, যদি আমার কাজের কোনো স্বীকৃতি থাকে তাহলে সেটা আমার প্রাপ্য। পুরস্কার নেওয়ার পর আমার ফেসবুক টাইমলাইনে অভিনন্দনের ফোয়ারা বয়ে যাচ্ছে। আমাদের নাট্যদল ‘দেশনাটক’-এর প্রায় সবাই এসে রাতে আড্ডা দিয়ে গেছে। আর পুরস্কার হাতে তুলে দেওয়ার সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বললেন ‘সিনেমাতে সবচেয়ে কঠিন কাজটা তোমাদের করতে হয়, লেখার কাজ’। পুরস্কার হাতে নেওয়ার আগেই আমার পুরস্কার পাওয়া হয়ে গেলো। বললাম, “আপনি কিন্তু আমার একটা নাটকের চরিত্র ।” উনি বললেন, “তাই! কোন নাটকে?” আমি বললাম, “আপনি নূর হোসেনের মাথায় হাত রেখে বলেছিলেন ‘জামাটা পরে নাও’ সেটা নিয়ে ‘জীবন্ত পোস্টার’ নামে একটা নাটকে।”

সাধারণদের মাঝেই থাকতে চাই: তমা মির্জা

পার্শ্ব-চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, ‘নদীজন’

ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে অনেকবার ড্যান্স করেছি। সেই মঞ্চে আমি নিজেই অ্যাওয়ার্ড নিলাম, এই অভিজ্ঞতা কিছুতেই বর্ণনা করতে পারছি না। অনেকবার পেলেও এর অনুভূতিটা প্রত্যেকবারই আলাদা আলাদা হবে এরপরে কখনো ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেলেও সেই অনভূতিটাও একই থাকবে। পুরস্কার পাবার পরও আমি সাধারণদের মাঝেই থাকতে চাই।

পরিশ্রমের ফসল এই পুরস্কার: ইরেশ যাকের

শ্রেষ্ঠ খলঅভিনেতা, ‘ছুঁয়ে দিলে মন’

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে সম্মান দিয়েছেন এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। সম্মাননা ক্রেস্ট পাওয়ার পর মায়ের হাতে তুলে দিই। মা অনেক খুশি হয়েছেন। ছবিটিতে আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। সেই পরিশ্রমের ফসল এই পুরস্কার।