বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলসে নিজ বাসগৃহ থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার সবার প্রথমে সেলিব্রেটি নিউজ ওয়েবসাইট টিএমজি বেনিংটনের মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ করে। পুলিশের বরাত দিয়ে তারা জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৪১ বছর বয়সী এই গায়কের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টিমজি বলছে, স্থানীয় সময় সকাল নয়টায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সূত্রের বরাতে টিমজি আরও বলছে, আত্মহত্যার সময় বাড়িতে একা ছিলেন বেনিংটন। তার পরিবার তখন শহরের বাইরে ছিল। তাদের এক কর্মী প্রথম দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ওই বাড়ির দোতলায় বেনিংটনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
বেনিংটনের মৃত্যুর খবর লিংকিন পার্কের তরফ থেকেও নিশ্চিত করেছে এক মুখপাত্র।
তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় এই ব্যান্ডের ফ্রন্টম্যানের মৃত্যুর খবর এমন সময়ে এলো, যখন কিছুদিনের মধ্যেই গোটা যুক্তরাষ্ট্রে কনসার্ট সফরের পরিকল্পনা করছিল দলটি।
১৯৭৬ সালের ২০ মার্চ ফিনিক্সে জন্ম নেওয়া বেনিংটন ছিলেন ছয় সন্তানের বাবা। দুইবার বিয়ে করা বেনিংটন দীর্ঘদিন ধরেই মাদকাসক্তির সমস্যায় ভুগছিলেন।
শৈশবে যৌন হয়রানির অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাওয়া বেনিংটন তার মানসিক সমস্যার কথা প্রকাশ করেন ২০০০ সালে, যখন লিংকিন পার্ক তাদের সর্বাধিক বিক্রিত অ্যালবাম ‘হাইব্রিড থিওরি’র প্রকাশ করেছে। এরপর থেকেই তরুণদের মধ্যে ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে অল্টারনেটিভ রক-ব্যান্ডটি।
চেস্টার বেনিংটনের মৃত্যুর খবর টিমজি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তা ভাইরাল হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে। যুক্তরাষ্ট্রের সংগীত জগতের বিভিন্ন তারকাসহ সাধারণ ভক্তরা টুইটার, ফেইসবুক ও ইন্টাগ্রামে প্রকাশ করেছেন শোক।
মার্কিন ব্যান্ড ওয়ান রিপাবলিক টুইট করেছে, “আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে। আত্মহত্যা হলো সেই অশুভ শক্তি, যা আমাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত ঘুরে বেড়ায়।”
দুইবারের গ্র্যামিজয়ী ব্যান্ড লিংকিন পার্ক প্রথম গঠিত হয় ১৯৯৬ সালে। দুই দশকেরও বেশি সময়ে বিশ্বব্যাপী সাত কোটিরও বেশি অ্যালবাম বিক্রি করেছে ব্যান্ডটি।
লিংকিন পার্কের প্রথম অ্যালবাম ‘হাইব্রিড থিওরি’কে ধরা হয় র্যাপ, মেটাল ও ইলেক্ট্রনিক মিউজিকের মিশেলে তৈরি এক অনবদ্য মেটাল মাস্টারপিস হিসেবে। বিগত বছরগুলোতে তারা প্রকাশ করেছে ‘মেটেরোয়া’, ‘কলিশন কোর্স’-এর মতো বেস্টসেলিং সব অ্যালবাম।