যৌথপ্রযোজনার চলচ্চিত্রকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই অশান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে ঢালিউডে।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বড়পর্দায় অনুপস্থিত চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি শান্ত হলেই চলচ্চিত্রে ফিরবেন তিনি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত এ চিত্রনায়িকার সর্বশেষ বড়পর্দায় উপস্থিতি ২০১২ সালে। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘লোভে পাপ পাপে মৃত্যু’ চলচ্চিত্রটিই ছিলো পূর্ণিমার বড়পর্দায় সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি।
সংসারজীবনে পদার্পণ ও মা হওয়ার ছুটিতে বড়পর্দা থেকে পূর্ণিমা দূরে সরে গেলেও ফিরতে পারেননি চার বছরেও। সম্প্রতি ছোটপর্দায় নাটক ও উপস্থাপনায় সরব হয়েছেন এ নায়িকা। সরব হয়েছেন চলচ্চিত্রাঙ্গনেও।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল থেকে কার্যকরি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। আগামী ২৪ জুলাই উপস্থাপনা করতে যাচ্ছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান।
সে সূত্রেই গ্লিটজের সঙ্গে আলাপে পূর্ণিমা জানালেন তার চলচ্চিত্রে ফেরার বাসনা।
পূর্ণিমা বলেন, “সবকিছু মিলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এখন একটু অশান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত হলেই চলচ্চিত্রে ফেরার কথা ভাবছি। বেশকিছু প্রস্তাব ও চিত্রনাট্য হাতে পাচ্ছি। যাচাই বাছাই চলছে। অপেক্ষা করছি ভালো চিত্রনাট্য, নির্মাতা ও নির্মাণের নিশ্চয়তারও। সবকিছু মিললেই ফের সিনেমায় কাজ করবো বলে আশা করছি।”
চলতি বছরের ১৫ মে অভিনয় জীবনের ২০ বছর অতিক্রম করা এ নায়িকা ১৯৯৮ সালে জাকির হোসেন রাজুর ‘এ জীবন তোমার আমার’ ছবির মধ্য দিয়ে বড়পর্দায় অভিষিক্ত হন।
পূর্ণিমা অভিনীত জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলো হলো ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘প্রেমের নাম বেদনা’, ‘ছোট্ট একটু ভালোবাসা’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘সুলতান’, ‘শাস্তি’, ‘শুভা’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘পিতামাতার আমানত’, ‘মাটির ঠিকানা’, ‘সাথী তুমি কার’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘মায়ের জন্য পাগল’ ইত্যাদি। কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিল না’ ছবির জন্য ২০১০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে মনোনীত হন তিনি।