হলিউডে অভিনেত্রীরা পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে লিঙ্গ-বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন বহুদিন ধরেই। বড় বাজেটের সিনেমাগুলোও তৈরি করা হয় পুরুষ শিল্পীদের প্রাধান্য দিয়েই। এবারে এই প্রথার দিকে আঙুল তুললেন থেরন।
ভ্যারাইটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি খুবই লজ্জিত যে আমি এমন এক ইন্ডাস্ট্রির অংশ, যেখানে ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’-এর চেয়ে বেশি বাজেটের কোনো নারী-প্রধান সিনেমা তৈরি হয়নি।”
চলতি বছরের অন্যতম বড় হিট সিনেমা গ্যাল গ্যাডট অভিনীত ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’। প্যাটি জেনকিন্স নির্মিত এই নারী সুপারহিরো সিনেমার অভাবনীয় সাফল্য চমকে দিয়েছে সবাইকে। কোনো নারী নির্মাতার তৈরি সর্বাধিক আয়ের সিনেমায় পরিণত হয়েছে এটি।
এই প্যাটি জেনকিন্সের ২০০৩ সালের সিনেমা ‘মনস্টার’-এ অভিনয় করে সেরা অভিনেত্রীর অস্কার জিতেছিলেন থেরন। তিনি মনে করেন হলিউডে নারীকেন্দ্রিক সিনেমা তৈরির প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে কম।
তিনি বলেন, “আমরা প্রায়ই এরকম মুহূর্ত দেখি, যখন নারীরা সত্যিই আকাশছোঁয়া সাফল্য অর্জন করে। কিন্তু আমরা এটা ধরে রাখতে পারিনা। একটি বা দুটি সিনেমা খারাপ করলেই নারীকেন্দ্রিক সিনেমা তৈরি করা থেকে সবাই হাত ধুয়ে ফেলে।”
চলতি বছরের শুরুতে মিশেল রদ্রিগেজ অভিযোগ করেছিলেন ‘ফাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস’-এর সেটে লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হওয়ার কথা। গত কয়েক বছর ধরেই অস্কারের মঞ্চেও বারবার উচ্চারিত হয়ে আসছে পারিশ্রমিক থেকে শুরু করে গুরুত্বের দিক দিয়েও নারীশিল্পীদের বৈষম্যের শিকার হওয়ার কথা।
তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটছে, এমনটাই বলছেন থেরন।
তার মতে,“এগুলো একেবারে প্রাগৈতিহাসিক কালের ধ্যান-ধারণা। তবে আমি আশা করি এটা বদলাবে।”
সামনেই মুক্তি পাবে এই অভিনেত্রীর নতুন সিনেমা ‘অ্যাটমিক ব্লন্ড’। ‘ম্যাড ম্যাক্স: ফিউরি রোড’-এর পর এই সিনেমায় আরও একবার অ্যাকশন অবতারে দেখা যাবে থেরনকে।