ক্রিকেট যদি পৃষ্ঠপোষকতা পায়, ফিল্ম কেন নয়?: পপি

বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পপি। বেশ কিছু সিনেমায় পেয়েছেন দর্শকপ্রিয়তা। এখন সিনেমায় তার খুব একটা ব্যস্ততা না থাকলেও যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নিয়ে আন্দোলনের মাঠে নিয়মিতই দেখা যায় তাকে। গ্লিটজের সঙ্গে আলাপকালে যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নিয়ে নিজের অবস্থান জানালেন। সঙ্গে এই প্রশ্নও তুললেন, ক্রিকেট যদি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে যেতে পারে সেখানে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে এতো অবহেলা কেন?

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 July 2017, 12:32 PM
Updated : 7 July 2017, 02:40 PM

গ্লিটজ: যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নিয়ে আন্দোলন চলছে। আন্দোলনকারী হিসেবে যৌথ প্রযোজনা ইস্যুতে আপনার অবস্থান কী?

পপি : আমরা কেউই যৌথ প্রযোজনার বিপক্ষে না। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে যৌথ প্রযোজনার নামে যা চলছে তা প্রতারণা । সরকারি নিয়ম নীতিগুলো না মেনে খুব সূক্ষ্মভাবে ইন্ডিয়ান ছবি যৌথ প্রযোজনার নামে চালানো হচ্ছে। দেশীয় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। যারা দায়িত্বে আছেন তাদের গড়িমসির কারণেই আজ ইন্ডাস্ট্রির এ হাল। ইন্ডাস্ট্রির পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। যেকোনো মূল্যে এখান থেকে বের হতে হবে আমাদের।

গ্লিটজ: অভিযোগের আঙুল কার দিকে তুলছেন আপনারা?

পপি : তথ্যমন্ত্রী না চাইলে এমনটা হতো না। উনি একজনকে প্রোমোট করেই কাজ করে যাচ্ছেন। এতে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির লাভ কী হচ্ছে? আমাদের বুঝতে হবে একজন মানুষ ভুল করতে পারেন। একজনের সিদ্ধান্ত ভুল হতে পারে। কিন্তু যেখানে পুরো ইন্ডাস্ট্রি একটি দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে সেটা তো ভুল না।

গ্লিটজ: তথ্যমন্ত্রী যাদের প্রোমোট করছে বলে আপনি অভিযোগ করছেন। তাদের ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কী?

পপি: শাকিব আমাদের ইন্ডাস্ট্রির আর্টিস্ট। সে কোন ছবি করবে, কোনটি করবে না সেটা তার ব্যাপার। তবে সবকিছুর উর্ধ্বে দেশের কালচার। তারা কেন যে নিজেদের ভালোটা বুঝছেন না সেটা বুঝে উঠতে পারছি না। আমার মনে হয় ওদের মধ্যে দেশপ্রেমের অভাব আছে। দেশের কালচারের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা কম।

গ্লিটজ: চলচ্চিত্রের চলমান সংকট নিরসনে এখন কী করণীয় বলে মনে করছেন?

পপি: সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়া সমস্যার সমাধান সম্ভব না। প্রধানমন্ত্রীকে নিজের হাতে বিষয়টি দেখভাল করতে হবে। আমার মনে হয় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি আজো অবহেলিত। দেখুন, ক্রিকেট কিন্তু আমাদের জাতীয় খেলা না। তারপরও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আমাদের ক্রিকেটারদের নাম। প্রধানমন্ত্রী বরাবরই ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করেন। এমনকি মাঠে বসে খেলা দেখেন। হাততালি দিয়ে উৎসাহিত করেন। ভালো পারফরমেন্স করলে ফ্ল্যাটের চাবি দেন। সেখানে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মানুষ কেন অবহেলিত? উনি মাঠে বসে খেলা দেখলে বাংলাদেশি ফিল্ম কেন দেখেন না?

গ্লিটজ: কী কী ফিল্ম হাতে আছে আপনার?

পপি: ‘শর্টকাটে বড়লোক’, ‘সোনাবন্ধু’, ‘রাজপথে’, ‘বিয়ে হলো বাসর হলো না’সহ আরো বেশ কটি সিনেমায় কাজ করছি।

গ্লিটজ: সিনেমার বাইরে এবার ব্যক্তিগত আলাপে যাওয়া যাক। বাজারে চাউর আছে, আপনি বিয়ে করে সংসার করছেন। এটা কী গুজব নাকি সত্যি?

পপি: কার সঙ্গে সংসার করছি নিজেই জানি না! যতক্ষণ পর্যন্ত অফিসিয়ালি ঘোষণা দিচ্ছি না ততদিন পর্যন্ত আমাকে নিয়ে গসিপ চলতেই থাকবে জানি। বিয়ে করাটা দেশদ্রোহী কাজ না। লুকিয়েও করতে হবে না। যখন আমি বিয়ে করবো সবাইকে জানিয়েই করবো। এসব যারা লিখেছেন পত্রিকা চালানোর জন্যই করেছেন।

গ্লিটজ: তাহলে বিয়ে করছেন কবে?

পপি: ঠিক বলতে পারছি না। তবে যার সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করবে তাকেই বিয়ে করবো। আমার ঘনঘন প্রেমে পড়ার অভ্যাস নাই। ধুম করে একটা ছেলেকে পছন্দ হলো আর বিয়ে করে ফেলবো এমনটা আমি নই।