উত্তরার এক শুটিং স্পটে দেখা মিললো দৃশধারণের কাজে ব্যস্ত মিথিলার। ঈদের নাটকের শুটিং নিয়ে এ মুহূর্তে ভীষণ ব্যস্ত তিনি। এর মধ্যেই সময় দিলেন গ্লিটজ-এর জন্য।
গ্লিটজ: এবার ঈদে কি কি কাজ করলেন?
মিথিলা: এবার ঈদে আমি অনেক কাজ করেছি। মিজানুর রহমান আরিয়ানের দু’টো নাটকে কাজ করেছি। ইফতেখার আহমেদ ফাহমির তিনটা নাটকের কাজ করেছি, মাবরুর রশিদ বান্না ও আশফাক নিপুনের একটা করে নাটকের কাজকরেছি। বলতে গেলে এবার ঈদে আমি সবচেয়ে বেশি কাজ করলাম। এর আগে কখনো আমার একসঙ্গে এতগুলো নাটক যায়নি।
গ্লিটজ: বিজ্ঞাপনে আপনাকে আগের চেয়ে কম দেখা যাচ্ছে..
গ্লিটজ: কিছুদিন আগেই হাবিবের গানে মডেল হলেন। এ প্রসঙ্গে কিছু বলেন
মিথিলা: এটা আসলে আমার জীবনের প্রথম মিউজিক ভিডিও। শুধুমাত্র হাবিবের কারণেই কাজটা করেছি। তা না হলে মিউজিক ভিডিওতে জীবনেও কাজ করতাম না আমি! (হাসি)
গ্লিটজ: কেন করতেন না? মিউজিক ভিডিও’র প্রতি অনিচ্ছার কারণটা কি?
মিথিলা: আসলে মিউজিক ভিডিও ব্যাপারটা একটু আলাদা। প্রস্তাব পেলেও আমি কখনো কাজ করিনি এর আগে। ‘ঘুম’ গানটাতে দেখবেন বেশ রোমান্টিক কিছু দৃশ্য আছে। সমুদ্রের পাড়ে হাবিবের হাত ধরে হেঁটেছি। এটা আসলে আমার জন্যনতুন অভিজ্ঞতা ছিলো। হাবিব যখন আমাকে এই গানের জন্য কাজ করতে বললো তখন আমি ভাবলাম, আগে তো কখনো কোনো গানের মডেল হইনি। এবার না হয় হলাম। নতুন কিছু করা হবে। এ কারণেই রাজি হয়েছি। আর হাবিব তোআমাদের বন্ধু। তার অনুরোধও ফেলতে পারিনি।
গ্লিটজ: তাহলে এখন থেকে আপনাকে মিউজিক ভিডিওতে দেখতে পাবে দর্শক ?
মিথিলা: একবারেই না। আমি ঠিক করেছি নিজের গান ছাড়া অন্য কারও গানে আর কখনোই মডেল হব না।
গ্লিটজ: তাহসানের সঙ্গে আপনাকে বিজ্ঞাপন এবং নাটকে দেখা গেছে। কিন্তু মিউজিক ভিডিওতে দেখা যায়নি। কেন?
গ্লিটজ: ইদানিং আপনাকে তাহসানের বিপরীতে নাটকেও খুব একটা দেখা যাচ্ছে না
মিথিলা: এটা সত্যি না। এই তো ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তেও তাহসান আর আমার নাটক গেছে টেলিভিশনে।
গ্লিটজ: এবার ঈদে কার কার সঙ্গে কাজ করলেন?
মিথিলা: এবারে আমার ছয়টা নাটক যাবে বিভিন্ন চ্যানেলে। তার মধ্যে জনের সঙ্গে বেশি কাজ করা হয়েছে। এছাড়া অপূর্ব আর সজলের সঙ্গেও কাজ করেছি।
গ্লিটজ: সামনে তো ঈদ। ঈদে সাধারণত কি করেন?
মিথিলা: আসলে ঈদ নিয়ে এখন আর আগের মতো কোনো প্ল্যান থাকে না। ঈদের আগে এত বেশি কাজের চাপ থাকে যে ঈদের দিন শুধু বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করে। মেয়ে ‘আয়রা’কে নিয়ে সময় কাটাই। তাই বাসা থেকে খুব একটা বেরোনো হয়না।
গ্লিটজ: ছোটবেলার ঈদগুলো কেমন ছিলো?
মিথিলা: ছোটবেলার ঈদগুলো অনেক আনন্দের ছিলো। আমি যৌথ পরিবারে বড় হয়েছি। আমরা অনেকগুলো কাজিন ছিলাম। একসঙ্গে সালামি নিতাম, ঘুরতাম। সে সময় এগুলোতেই অনেক মজা লাগতো। আর এখন নিজের জন্য ঈদে তেমনকিছুই করা হয় না বরং মেয়ের জামা, মেয়ের ঈদের সালামি- এগুলোই এখন আমার ঈদের আনন্দ।
গ্লিটজ: ঈদের একটা বড় মজা হলো ঈদের কেনাকাটা। ঈদ শপিং করতে গিয়ে কখনো মজার অভিজ্ঞতা হয়েছে?
মিথিলা: ঈদের শপিংয়ে যেতে আমার খুবই ভালো লাগে কিন্তু এখন চাইলেও সবখানে যেতে পারি না। বড় বড় শপিং মলগুলো, যেখানে অনেক মানুষ আসে এরকম জায়গাগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি সব সময়। কারণ দেখা হলেই ভক্তদের সঙ্গেসেলফি তুলতে হয়। সবাই কথা বলতে চায়। ফলে দেখা যায় নিজের মতো করে শপিং করা যায় না। তবে এবার ঈদে আমি আমার বোনদের সঙ্গে কেনাকাটা করতে বেরিয়েছিলাম। আমাদের ‘সু শপিং’য়ে! বনানীতে অনেকগুলো জুতার দোকানঘুরে প্রায় দশ জোড়া জুতা কিনে এনেছি(হাসি)। এটা অনেক মজার অভিজ্ঞতা ছিলো ।
গ্লিটজ: ঈদের সময় ছাড়া নাটকে খুব একটা দেখা যায় না কেন আপনাকে ?
গ্লিটজ: এবারে একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন করি?
মিথিলা: হুম। করেন।
গ্লিটজ: মিডিয়াতে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে তাহসান-মিথিলার সম্পর্ক নাকি ভালো যাচ্ছে না। বিচ্ছেদের দিকে যাচ্ছেন তাহসান-মিথিলা- এমনটাও বলেছেন কেউ কেউ। এ বিষয়ে আপনি কি বলবেন?
মিথিলা: তাহসান-মিথিলার সম্পর্ক নিয়ে মিডিয়ার মাথা না ঘামালেও চলবে। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমি এ মুহূর্তে কিছু বলতে চাই না।
গ্লিটজ: তাহলে কি ধরে নেব যা শোনা যাচ্ছে সেটাই সত্যি?
মিথিলা: আপনারা কোথা থেকে শোনেন এসব খবর? আমার কানে তো আসে না।
গ্লিটজ: আপনি চাইলে গ্লিটজ’য়ের মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার করতে পারেন সবার কাছে
মিথিলা: দেখেন, আমার যদি কখনো মনে হয় যে আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলা উচিত তাহলে- যখন সময় হবে আমি নিজেই বলবো, এখন কিছু বলবো না।