গ্লিটজকে এব্যাপারে তিনি বলেন, “শুটিং প্রায় শেষ। আর দুই দিনের শুটিং বাকি আছে। জুলাইয়ের শেষে আবার বান্দরবান যাব। আমরা ওয়েট করছিলাম নদীতে আরেকটু পানি আসার জন্য। বাকি শুটিং শেষ, ডাবিং শেষ, এডিটিংও শেষ। ফাইনাল এডিটিঙের কাজ দ্রুতই শুরু হবে।”
দুইবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই নির্মাতা আরও বলেন, “আশা করি ‘আঁখি ও তার বন্ধুরা’ সবাই খুব পছন্দ করবে। কারণ এর বিষয়বস্তু। প্রথমত, এর আগে শিশুদের ছবিতে মেয়েদেরকে নিয়ে কোনো ছবি হয়নি আমাদের এখানে। আরেকটা বিশেষত্ব হলো মূল চরিত্রের মেয়েটা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জীবনের যে সমস্যা, তাদের এই সমাজ কী চোখে দেখে- এসব নিয়েই সিনেমাটি। তাদেরকে যদি আমরা একটু সুযোগ দেই, নিজেদের একজন হিসেবে গ্রহণ করি, তাহলে তারাও যে কতদূর যেতে পারে, তারাও যে কত প্রতিভার অধিকারী- এই বিষয়গুলোও আছে। আর তাই বিষয়বস্তুর দিক থেকেও ছবিটার অন্যরকম একটা মাত্রা আছে।”
সিনেমাটিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করছে ইশা। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করছেন সুবর্ণা মুস্তফা, তারিক আনাম খানসহ আরও অনেকে।
“সবমিলিয়ে মজার একটা গল্প; অ্যাডভেঞ্চার আছে, ডাকাতের কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘটনা আছে। মেয়েটা চমৎকার অভিনয় করেছে। টানা দশদিন দশরাত আমরা শুটিং করেছি। এবং এটা আমরা আসছে ডিসেম্বরে রিলিজ দিতে পারবো ইনশাল্লাহ,” বলে তিনি জানান।
মোরশেদুল ইসলাম আশাবাদী তার অন্য সিনেমাগুলোর মতোই এটিও দারুণ সাড়া ফেলতে সক্ষম হবে।
“আমি আশা করছি, এটা ‘দীপু নাম্বার টু’য়ের চেয়েও বেশি আলোড়ন ফেলতে সক্ষম হবে,” বলেন তিনি।
সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ‘আঁখি ও তার বন্ধুরা’ যৌথভাবে নির্মাণ করছে মনন চলচ্চিত্র ও ইমপ্রেস টেলিফিল্মস।