১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ের জরুরি অবস্থা নিয়ে নির্মিত মধুর ভান্ডারকরের ‘ইন্দু সরকার’ সিনেমা নিয়ে শুরু থেকেই চলছে নানা তর্ক-বিতর্ক। ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ অধ্যায় নিয়ে এর আগে তেমনভাবে কাজ করেননি কেউ। ছবির ট্রেইলারে ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধীকে যেভাবে দেখানো হয়েছে তা নিয়ে এরই মধ্যে আপত্তি তুলেছেন কংগ্রেস সদস্যরা। অন্যদিকে অনেকেই তারিফ করছেন পরিচালকের সাহসী পদক্ষেপের।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানায়, ক’দিন আগেই সেন্সর সনদ পেতে হলে ‘ইন্দু সরকার’য়ে দৃশ্যায়িত প্রতিটি বাস্তব চরিত্রের জন্য সেই ব্যক্তির পক্ষ থেকে ‘অনাপত্তি পত্র’ দাখিল করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন ভারতীয় সেন্সর বোর্ড প্রধান পহলাজ নিহালানি। একইভাবে সাবেক ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং’য়ের জীবনীর জন্যও প্রয়োজন হয়েছিলো তার অনাপত্তি পত্রের। তবে ‘ইন্দু সরকার’য়ের জন্য এই শর্ত শিথিল করা হয়েছে বলে জানান পহলাজ নিহালানি।
গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিহালানি বলেন, “যেহেতু ‘ইন্দু সরকার’য়ের ট্রেইলারে কোনো চরিত্রের নাম উল্লেখ করা হয়নি এবং শুধুমাত্র চেহারা ও বক্তব্য দিয়ে বাস্তব কিছু চরিত্রকে চিত্রায়ন করা হয়েছে। তাই এ ছবির জন্য কারও অনাপত্তি পত্র প্রয়োজন নেই। তবে সিনেমার ভেতরে যদি কোনো বাস্তব চরিত্রের নামের উল্লেখ থাকে তবে এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেব।”
‘ইন্দু সরকার’য়ে অভিনয় করেছন কীর্তি কুলহারি, সুপ্রিয়া বিনোদ, নীল নিতিশ মুকেশ, অনুপম খের, টোটা রায় চৌধুরি প্রমুখ। ২৮ জুলাই মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে ছবিটির।