যে সিনেমা নিয়ে এত উন্মাদনা, সেই সিনেমার প্রতি আশার পারদটা একটু চড়া-ই থাকবে- এটাই স্বাভাবিক। তবে সেইসঙ্গে মনে ছিল আশাভঙ্গের ভয়ও। দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আশা নয়, সত্যি হলো আশঙ্কাটাই!
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে প্রাচীন মিশরের হাজার বছরের পুরানো মমির আধুনিক বিশ্বে জীবন্ত হয়ে ওঠার ঘটনা নিয়ে যখন ছবি তৈরি হয়েছিল, তখন সেই গল্পের ভাবনা ছিল টাটকা; এমনকী ক্ষেত্রবিশেষে অভিনবও বলা যায় একে। কিন্তু সেই একই গল্পকে একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ২০১৭ তে বললে বাসি তো লাগবেই, সেইসঙ্গে মনে হবে বাহুল্যও।
স্টিভেন সমার্স-এর ‘মমি ট্রিলজি’র অন্যতম আকর্ষণই ছিল এর শয়তান ভিলেনগুলো। ছবির নায়ক ব্রেন্ডন ফ্রেইজার এবং র্যাচেল ওয়াইজের অনন্য রসায়নও ছিল এই ছবির প্রাণ। সেইসঙ্গে পার্শ্ব চরিত্রগুলোর কৌতুক ছবিগুলোতে কিছুটা হলেও যোগ করেছিল দারুণ এক ভিন্ন মাত্রা। ফলে মূল ‘মমি ট্রিলজি’র গল্পগুলো যতোই আজগুবি হোক না কেন, দর্শককে বিনোদিত করেছে পুরোমাত্রায়। সিনেমাগুলো আর যাইহোক বিরক্তিকর ছিল না কোনোভাবেই।
মূল ‘মমি ট্রিলজি’র সঙ্গে এই রিবুটের আরেকটি বড় পার্থক্য ছিল এতে দেখানো সময়কালের। নব্বইয়ের দশকের ছবি হলেও ১৯৯৯ সালের ‘দ্য মমি’র গল্পের সময়কাল ছিল উনিশ শতকের গোড়ার দিকে। কিন্তু এবারের সিনেমাটির গল্প ২০০০ পরবর্তী সময় নিয়েই, যখন ইরাকে চলছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা-আগ্রাসন। আর তাই গল্পটির পটভূমি ইরাক-কেন্দ্রিক হলেও সিনেমাটি বেশ জমতো; উঠে আসতে পারতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পশ্চিমা আগ্রাসনের বর্তমান চিত্রটিও।
ঈদের ছুটিতে হলিউডি ছবি দেখে মন ভরানোর পরিকল্পনা যদি থেকেই থাকে, তালে ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’ কিংবা ‘পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান ফাইভ’ দেখুন। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ফ্লপ হলিউডি প্রজেক্ট ‘বেওয়াচ’ও দেখতে পারেন সাহস করে।