সিনেমার গল্প সম্পর্কে সৃজিত পশ্চিমবঙ্গের দৈনিকপত্রিকা আজকাল’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “রমেন্দ্রনারায়ণ রায় ছিলেন ভাওয়াল এস্টেটের রাজকুমার। অধিকাংশ সময় পশু-পাখি-মাছ শিকার আর আনন্দ-ফুর্তি করে কাটাতে ভালবাসতেন। শোনা যায় সেই সময়ে বেশ কয়েকজন রক্ষিতাও ছিলেন তার। ১৯০৫ সালে তিনি রোগে আক্রান্ত হন। রোগের সঠিক কারণ সে সময় গোপন রাখা হয়। তারপর চিকিৎসা করার জন্য দার্জিলিংয়ে যান রমেন্দ্রনারায়ণ রায়। সেখানেই মে মাসের ৭ তারিখে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ হিসাবে বলা হয় বিলিয়ারি কলিক বা গলব্লাডারে পাথর। সেই মাসের ১৮ তারিখে দার্জিলিংয়ে তার শ্রাদ্ধ-শান্তি করা হয়।”
১৯৭৫ সালের ‘সন্ন্যাসী রাজা’য় উত্তম কুমারের পাশাপাশি অভিনয় করেছিলেন সুপ্রিয়া দেবী, রবীন মজুমদার, তরুণ কুমার প্রমুখ। এই সিনেমার গল্পেও তুলে ধরা হয়েছিল চাঞ্চল্যকর ওই মামলার কথাই। তবে আদালতের তথ্য-প্রমাণের চেয়ে সিনেমাটিতে বেশি ছিল কল্পনার আশ্রয়। কিন্তু সৃজিত বলছেন তার সিনেমায় কল্পনা নয় উঠে আসবে আদালতে এই মামলা নিয়ে তৈরি হওয়া নাটকীয়তাই। পুরো ছবিটাই হবে একটি পিরিয়ড পিস ও কোর্টরুম ড্রামা। ছবির গল্প ছড়িয়ে থাকবে ১৯০৩ থেকে স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত। তবে কোর্টের বিভিন্ন রেকর্ড ছাড়াও এই ছবি তৈরি করতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের সাহায্য নিচ্ছেন সৃজিত। একটি বই পার্থ চ্যাটার্জির লেখা ‘আ প্রিন্সলি ইম্পস্টার’ এবং অন্যটি মুরাদ ফৈজির ‘আ প্রিন্স, পয়জন অ্যান্ড টু ফিউনারালস’।
সিনেমায় কারা অভিনয় করবেন এ বিষয়টি চূড়ান্ত না হলেও এতে থাকছে তিনটি চরিত্র, এমনটাই জানিয়েছেন সৃজিত। সিনেমার কাজ এখনও প্রাথমিক পর্যায়েই আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।