বৈঠকে বক্তরা শোনান নির্মাতা হিসেবে রাসেল আহমেদের সংগ্রামের গল্প। সিনেমা বানানোর স্বপ্ন বাম্তবায়নে পৈত্রিক সম্পত্তিও বিক্রি করেচিরৈণ তিনি। স্রেফ বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেই নয়, মানুষের বোধ ও চিন্তাকে উন্নত করতে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে নেমেছিলেন রাসেল- এমন বক্তব্য তার সহকর্মী ও সুহৃদদের সকলেরই।
বৈঠকে বক্তব্য রাখেন কবি ও নির্মাতা টোকন ঠাকুর, প্রকাশক রবীন আহসান, কবি ও আবৃত্তিকার সাফিয়া খন্দকার রেখা, অভিনেতা ম ম মোর্শেদ, চলচ্চিত্র নির্মাতা ফয়সাল রদ্দি, চলচ্চিত্র নির্মাতা অং রাখাইন, মাহবুব হোসেন, ইফতেখার শিশির, ইমতিয়াজ পাভেল, সাংবাদিক সাইফ ইবনে রফিক, ভাষ্কর ও লেখক গোঁসাই পাহলভী, কবি ও সাংবাদিক রুদ্র আরিফ, আবদুল্লাহ মাহফুজ অভি, সঙ্গীত শিল্পী সম্রাট, কিম্বেল অভি, সিনা হাসান, কবি মাহমুদ মিটুল, কিং সউদ, রাসেলের মেঝ ভাই মোহাম্মদ শফিকুল আলম মুকুল, শৈশবের বন্ধু ইঞ্জিনিয়ার এসএম পলাসহ আরও অনেকে। দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে পরম শ্রদ্ধার সাথে রাসেলকে স্মরণ করেন তারা।
অনুষ্ঠানে নির্মাতা টোকন ঠাকুর বলেন, “রাসেল সিনেমাটি (নৃ) প্রায় শেষ করে এনেছিলেন, কিন্তু এর মুক্তি দেখে যেতে পারলেন না। এটি মুক্তি না পাওয়া অবধি তার আত্মা শান্তি পাবে না।”
রবীন আহসান বলেন, “বাজারী ধারায় সবাই যেভাবে সিনেমা বানাচ্ছে - রাসেল সেভাবে বানাতে চায়নি। নিজের মতো করেই গল্প বলতে চেয়েছে। এই প্রবণতা দেখেই বুঝেছিলাম সে আসলে শিল্পী।”
রাসেলের মেজ ভাই মুকুল বলেন, “সত্যি কথা বলতে কি, সে আমাদের মাঝে বড় হলেও আমরা তাকে চিনতে পারিনি। আজ আপনাদের মাঝে এসে, কাজের কথা শুনে - তাকে নতুন করে চিনলাম।”
মা, মাটি ও মানুষের গল্প নিয়ে রচিত ‘নৃ’ চলচ্চিত্রের কারিগর নির্মাতা রাসেল আহমেদ ১৫ মে সন্ধ্যায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। টিজার প্রকাশের কারণে অন্তর্জালে বহুল আলোচিত চলচ্চিত্রটি যখন সম্পাদনার টেবিলে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখনই দুনিয়া ছাড়লেন নির্মাতা।