ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৮৯ বছর বয়সী এই অভিনেতা।
বিবিসি বলছে, স্যার রজার মুরের মৃত্যুর খবর টুইটারে নিশ্চিত করেছে তার পরিবার।
তার তিন সন্তান, ডেবরা, জেফ্রি এবং ক্রিস্টিয়ান মুর এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানান, “অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি যে আমাদের বাবা স্যার রজার মুর মারা গেছেন। আমরা সবাই শোকাহত।”
১৯২৭ সালে লন্ডনে জন্ম নেওয়া রজার মুর তার কেরিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবে। পঞ্চাশের দশকের শুরুতে খ্যাতনামা প্রযোজনা সংস্থা এমজিএম-এর সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তিতে আবদ্ধ হন মুর। তবে বড় পর্দায় নয়, সাফল্যের স্বাদ মুর পেয়েছেন ছোটপর্দার হাত ধরেই। সত্তরের দশকের দুই টিভি সিরিজ ‘দ্য সেইন্ট’ এবং ‘দ্য পারসুয়েডার্স’-এর কল্যানেই জনপ্রিয় তারকায় পরিণত হন তিনি।
ছয় ফুট এক ইঞ্চি উচ্চতার সুপুরুষ মুর-এর কাছে জেমস বন্ড চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব এসেছিল ষাটের দশকের শেষেই। কিন্তু টিভি সিরিজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে সেই সময় এই প্রস্তাবে রাজি হননি মুর। তবে আরেক কিংবদন্তি বন্ড অভিনেতা শন কনারির এই চরিত্র থেকে সরে দাঁড়ানোর পর নির্মাতাদের প্রস্তাব আর ফেলতে পারেননি মুর। আর এভাবেই ১৯৭৩ সালের হিট সিনেমা ‘লিভ অ্যান্ড লেট ডাই’-এর মাধ্যমে বন্ড জগতে প্রবেশ রজার মুরের, যে যাত্রা সফলভাবে টিকেছিল পরবর্তী এক যুগ!
অভিনয়ের বাইরে মুর পরিচিত ছিলেন তার মানবিক দিকের জন্য। প্রিয় বন্ধু অড্রে হেপবার্নের অনুরোধে জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূতে পরিণত হন তিনি। ব্রিটেনের রাজ পরিবারের তরফ থেকে যেকারণে ২০০৩ সালে তাকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
জীবনে চারবার বিয়ে করেন রজার মুর। তার মৃত্যুর সময় পাশে ছিলেন চতুর্থ স্ত্রী ক্রিস্টিনা থলস্ট্রাপ এবং তিন সন্তান ডেবরা, জেফ্রি ও ক্রিস্টিয়ান।