সত্তর ও আশির দশকের জনপ্রিয় জুটি ছিলেন বিনোদ খান্না ও শাবানা আজমি। ‘শক’, ‘অমর আকবর অ্যান্টনি’, ‘আধা দিন আধি রাত’ সহ বেশ কিছু সিনেমার জুটি বেঁধে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাদের। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’য়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিনোদ খান্নার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণা করলেন তিনি।
নবাগত নায়িকা হিসেবে বলিউডে প্রতিষ্ঠা পেতে শাবানা আজমিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বিনোদ খান্না। ‘শক’ ছবিতে একটি অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয়ের কথা স্মরণ করে শাবানা বলেন, “পরিচালক অরুণা ও বিকাশ যখন ‘শক’ ছবির জন্য বিনোদ ও আমাকে একটি বিশেষ অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করতে বলে তখন আমি ভীষণ নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। অনেক লজ্জা আর সংকোচ হচ্ছিল তার গায়ে হাত রাখতে। এ সময় তিনি বুঝতে পারছিলেন আমার অস্বস্তির বিষয়টা। তিনি তখন আমার ঘাড়ে হাত রেখে সিনেমাটোগ্রাফারকে জিজ্ঞেস করলেন পজিনশটা ঠিক আছে কিনা। এরপরই আমি হঠাৎ করে অনুভব করলাম এটা আসলে নিতান্তই অভিনয়, বাস্তব কিছু নয়। তখন আমি বেশ সহজ হয়ে গেলাম আর আমার ভয় কেটে গেলো। এভাবেই অন্তরঙ্গ দৃশ্যগুলোতে অভিনয়ে তিনি আমাকে সাহায্য করেছেন।”
সত্তর দশকের সাড়া জাগানো ছবি ‘অমর আকবর অ্যান্টনি’তেও কাস্ট পেতে শাবানাকে সাহায্য করেছিলেন বিনোদ খান্না। শাবানা বলেন, “আমি তখন ইন্ড্রাস্ট্রিতে একেবারেই নতুন আর তিনি অনেক বড় তারকা। ‘অমর আকবর অ্যান্টনি’ ছবিতে ঋষি কাপুর ও অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে অভিনয় করছিলেন নিতু সিং ও পারভীন ববি। ছবিতে বিনোদ খান্নার চরিত্র ‘অমর’-এর জন্য কোনো নায়িকা রাখেননি পরিচালক। কিন্তু তিনি পরিচালক মনমোহন দেশাই’কে রাজি করিয়ে তার বিপরীতে নায়িকা হিসেবে আমাকে নিতে অনুরোধ করেন। নতুন অভিনেত্রী হিসেবে এটা ছিলো আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।”
বিনোদ খান্নাকে অত্যন্ত অমায়িক ও সহৃদয় মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে ‘নীরজা’ অভিনেত্রী বলেন, “তিনি ছিলেন খুবই নরম মনের মানুষ। তার মধ্যে তারকাসুলভ আচরণ ছিলো না। শুটিংয়ের সময় প্রায়ই তিনি দু’তিন জন ভক্তের সঙ্গে দুপুরের খাবার ভাগাভাগি করে খেতেন। এমনকি শুটিংয়ের ফাঁকে সময় পেলে ভক্তদের সঙ্গে সময় কাটাতেন ও কথা বলতেন। তার মতো বড় মাপের অভিনেতার জন্য এটি ছিলো বিস্ময়কর।”