২০০৪ সালে পরিচালক মধুর ভান্ডারকরের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন প্রীতি। তাতে বলা হয়, সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ দেওয়া হবে বলে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৬ বার তার সঙ্গে শারীরিকভাবে মিলিত হন এ পরিচালক। কিন্তু এরপরও তাকে সিনেমার জন্য ডাকা হয়নি। উপরন্তু তাকে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আদালতের রায়ে এ মামলা থেকে বেকসুর খালাস পান পরিচালক মধুর ভান্ডারকর। এর ঠিক এক বছর পরেই ভাড়াটে খুনি দিয়ে পরিচালকের প্রাণনাশের চেষ্টার জন্য গ্রেপ্তার হন প্রীতি জৈন। টাইম অফ ইন্ডিয়া বলছে, সম্প্রতি প্রকাশিত মামলার রায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে প্রীতিকে। হত্যা চেষ্টার অভিযোগে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও দশ হাজার রুপি জরিমানা করেছে আদালত।
‘পেইজ থ্রি’, ‘ট্র্যাফিক সিগনাল’, ‘ফ্যাশন’ ও ‘চাঁদনি বার’ সহ বেশ কিছু সিনেমার জন্য সুপরিচিত পরিচালক মধুর ভান্ডারকর।