পাঁচবার ভারতের জাতীয় পুরস্কার, দশবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ও ২০ বার মহারাষ্ট্রের সম্মানজনক নন্দী পুরস্কার জয়ী এ খ্যাতিমান পরিচালক ছবি তৈরি করে আসছেন ১৯৬৫ সাল থেকে। ১৯৯২ সালে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘পদ্মশ্রী’তে ভূষিত হন তিনি। এ যাবৎ হিন্দি, তামিল ও তেলুগু মিলিয়ে প্রায় ৫০টির মতো সিনেমা নির্মাণ করেছেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাতকারে ৮৭ বছর বয়সী এ পরিচালক বলেন, “এ মুহূর্তে আমার কেমন লাগছে তা বলা খুবই কঠিন। নিয়ম মেনে হয়ত বলতে পারি আমার খুব ভালো লাগছে কিন্তু সত্যিকার অর্থে আমার ভেতরে যে আবেগ কাজ করছে তা ভাষায় প্রকাশ করা শক্ত। তবে এটুকু বলতে পারি যে, নিয়ম মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে তার ফল একদিন আসবেই।”
বিশ্বনাথ আরও বলেন, “আমি আমার প্রযোজকদের ধন্যবাদ জানাই। তারা না থাকলে আজকে আমি পরিচালক হতে পারতাম না। তারা যদি আমার উপর ভরসা না করতেন এবং আমাকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দিতেন তাহলে আমি ভালো নির্মাতা হতে পারতাম না।”
১৯৮৬ সালে তার পরিচালিত ‘সতী মুত্যম’ ছবির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অস্কারে যাওয়া শুরু করে ভারতীয় সিনেমা। এ ছবিতে কমল হাসান ও চিরঞ্জিবী’র অনবদ্য অভিনয় আজও মনে রেখেছে দর্শক। পরবর্তীতে এ ছবির হিন্দি সংস্করণ ‘ঈশ্বর’য়ে অভিনয় করেন অনিল কাপুর।
৩ মে অনুষ্ঠিতব্য দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার আসরে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী এ পুরস্কার তুলে দেবেন বিজয়ীদের হাতে।