দেশের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের দৈন্যদশা কাটছেই না। এর মধ্যে সাম্প্রতিককালে অনিয়মের অভিযোগে জর্জরিত টলিউড ও ঢালিউডের যৌথপ্রযোজনার চলচ্চিত্রগুলোও। চলমান পরিস্থিতিতে এ পদ্ধতিতে চলচ্চিত্র নির্মাণ দেশের বণিজ্যিক চলচ্চিত্রের জন্য সুফল বয়ে আনবে না কুফল তা নিয়ে একে একে মুখ খুলছেন দেশের চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টদের অনেকেই। এবার সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তিপ্রাপ্ত দেশি প্রযোজনার সফল চলচ্চিত্র ‘আয়নাবাজি’র অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীও মুখ খুললেন। জানালেন, যৌথপ্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র নিয়ে তার বিরূপ মনোভাবের কথা। শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার এক বক্তব্যে তেমনটাই ধরা পড়লো।
চঞ্চল লিখেছেন- ‘আয়নাবাজি’ দিয়ে বাংলা সিনেমার কিচ্ছু হবে না। যারা নিজেদেরকে বাংলা সিনেমার ধারক ও বাহক মনে করেন, আসুন, আমরা সবাই যৌথ প্রযোজনার সিনেমাকে বেশি বেশি করে প্রোমোট করে উপরে তুলে,বাংলা সিনেমার ইজ্জত হরণ করি। অন্যের মা’কে মা ডাকি। হায় রে অভাগা জাতি! ফোকাস প্রবলেম এর জাতি! কাছেরটাও দেখতে পায় না, দূরের টাও না। ’
আশঙ্কার কথা যখন বলছেন, আপনার কি মনে হয়, দেশের সিনেমাশিল্প রসাতলে যাচ্ছে?
“সেটা অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে। এখনও যে সিনেমা খুব ভাল অবস্থানে আছে, তা তো নয়।”
এই অবস্থা থেকে উত্তরণ পাওয়ার উপায় কী?
তিনি বলেন, “উত্তরণের উপায় একটাই। দেশীয় কন্টেন্ট যারা তৈরি করছে, দেশের সিনেমাকে যারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে যাচ্ছে, তাদের প্রোমোট করা। যাদের শিক্ষা-দীক্ষা আছে, যারা আসলেই সিনেমা তৈরি করতে জানেন, তাদের সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। সত্যিকারের শিল্পীদের প্রোমোট করতে হবে, যারা দেশীয় কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করছেন।”
দেশি চলচ্চিত্রের দুর্দিনে চঞ্চল অভিনীত মনপুরা ও ‘আয়নাবাজি’-কে দেশের চলচ্চিত্রের অন্যতম সফল বাণিজ্যিক ছবি হিসেবে ধরা হয়। ছোটপর্দার পাশাপাশি বর্তমানে এ অভিনেতা ব্যস্ত রয়েছেন জয়া আহসান প্রযোজিত দেবী চলচ্চিত্রটি নিয়ে। এ চলচ্চিত্রে তিনি হাজির হচ্ছেন হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় চরিত্র মিসির আলি চরিত্রে। চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করছেন অনম বিশ্বাস।