বাংলা ছবির নকল ইর‌ফানের ‘হিন্দি মিডিয়াম’?

ইরফান খান অভিনীত নতুন সিনেমা ‘হিন্দি মিডিয়াম’-এর বিরুদ্ধে নকলের অভিযোগ তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের নির্মাতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 April 2017, 02:30 PM
Updated : 9 April 2017, 02:42 PM

কলকাতার পত্রিকা আজকাল-এর কাছে শিবপ্রসাদ দাবি করেছেন তার ও নন্দিতা রায় নির্মিত ২০১৪ সালের সিনেমা ‘রামধনু’র হবহু নকল সকেত চৌধুরীর ‘হিন্দি মিডিয়াম’। ইরফান খান এবং পাকিস্তানি অভিনেত্রী সাবা অভিনীত সিনেমাটির পোস্টার ও ট্রেইলার মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি।

ট্রেইলার মুক্তির পরপরই পশ্চিমবঙ্গের তারকারা প্রতিবাদের ঝড় তোলেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। ‘রামধনু’র অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরী দাবি করেছেন, সিনেমার অনেকগুলো দৃশ্য সরাসরি নকলও দেখা গেছে ট্রেইলারটিতে।

শুক্রবার সকালে টুইটারে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “বিষয়টা আমাকে ভাবাচ্ছে, আমি স্তম্ভিত। ইন্ডাস্ট্রির সবাইকে একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে।” অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায়ও তার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন টুইটারে।

শিবপ্রসাদ বলেছেন, আর সবার মতো তিনিও অন্ধকারে। একটি মালয়ালাম সিনেমার জন্য ‘রামধনু’র স্বত্ত্ব তারা দিয়েছিলেন, কিন্তু হিন্দি সিনেমার জন্য তা হয়নি। সেকারণেই পুরো বিষয়টিকে নিছক ‘চুরি’ বলে দাবি করছেন তিনি।

শিবপ্রসাদ আশা করছেন ‘রামধনু’র প্রযোজক অতনু রায়চৌধুরী এব্যাপারে শিগগিরই মামলা করবেন ‘হিন্দি মিডিয়াম’ নির্মাতাদের বিরুদ্ধে। 

এদিকে ‘হিন্দি মিডিয়াম’-এর নির্মাতা সকেত চৌধুরী বলেছেন সিনেমাটির চিত্রনাট্য মৌলিক; অন্য কোনো সিনেমা থেকে এটি নকলের প্রশ্নই আসেনা।

 

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমরা এক বছরের গবেষণার পর মৌলিক গল্প থেকে সিনেমাটি তৈরি করেছি। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো তড়িঘড়ি কোনো সিদ্ধান্তে না পৌঁছে আগে সত্য উদঘাটন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। আর সত্য উদঘাটিত হবে তখনই যখন ১২ মে-তে সিনেমাটি মুক্তি পাবে।”

উপমহাদেশে এক ভাষার সিনেমা থেকে অন্য ভাষার সিনেমায় গল্প নকল হওয়ার বিষয়টি নতুন নয়। এর আগে ২০০৭-এ মুক্তি পাওয়া ‘নমস্তে লন্ডন’ সিনেমা নকল করে তৈরি ২০১০ সালের বাংলা সিনেমা ‘পরান যায়রে জ্বলিয়া’র বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।

তবে সম্প্রতি লুকিয়ে কোনো সিনেমা থেকে নকল না করে সিনেমার স্বত্ত্ব কিনে আনুষ্ঠানিকভাবে রিমেক করার প্রচলন হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশক’টি বাংলা সিনেমা, যেমন ‘ইচ্ছে’, ‘বেলাশেষে’ এবং ‘প্রাক্তন’-এর স্বত্ত্ব কিনে নিয়েছে হিন্দি সিনেমার বড় বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো।