কন্নড় ও তামিল ইন্ড্রাস্ট্রিতে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন আরও আগেই। করেছেন ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’-এর মতো নামকরা সিনেমারর প্লে-ব্যাকও। কিন্তু হিন্দিতে বরাবরই পিছিয়ে ছিলেন তিনি। এবারে ঘুচলো সে অপবাদও! দ্বিতীয় দক্ষিণ-ভারতীয় শিল্পী হিসেবে সম্মানজনক এই আসরের সেরা শিল্পীর মুকুট জিতলেন রিবন্ত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে রিবন্ত বলেন, “আমার বরাবরই স্বপ্ন ছিলো বলিউডে কাজ করবো।এবারে সে সুযোগ এসেছে। বলিউডের পাশাপাশি টালিগঞ্জেও কাজ করতে আগ্রহী আমি। তবে আগে বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।”
রিবন্ত আরও বলেন, “প্রথম যখন ইন্ডিয়ান আইডল আসরে আসি তখন আমি একবারেই হিন্দি বলতে পারতামনা। সবাই আমার হিন্দি শুনে হাসতো আর কিছুই বুঝতো না! ধীরে ধীরে আমি নিজেকে তৈরি করেছি। ইন্ডিয়ান আইডল আমার জীবনে অনেক বড় পাওয়া। এই আসরের চারটি মাস আমার জীবন আনেক বদলেদিয়েছে।”
২০০৮ সালে তেলেগু সিনেমা ‘মহায়ুগম’ এর ‘ঝলক দিখলা যা’ গানটি দিয়ে প্রথম প্লে-ব্যাক কেরিয়ার শুরু করেন রিবন্ত। এর পর একে একে দু’শর বেশি কন্নড়, তেলুগু ও তামিল সিনেমায় কণ্ঠ দিয়েছেন হায়দ্রাবাদের অধিবাসী রিবন্ত।
ইন্ডিয়ান আইডলের এবারের আসরে বিচারক হিসেবে ছিলেন প্রথম ও দ্বিতীয় আসরের তিন বিচারক-ফারাহ খান,সনু নিগম ও অনু মালিক। চূড়ান্ত পর্বের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেট তারকা শচীন টেন্ডুলকার,অভিনেত্রী রবীনা ট্যান্ডন, আরশাদ ওয়ার্সি, বোমান ইরানী এবং ‘কপিল শর্মা শো’র জনপ্রিয় চরিত্র ডক্টর গুলাটি বেশে সুনীল গ্রোভার ও সুগন্ধা মিশ্র।