বিএফডিসিতে মিজু আহমেদের জানাজা সম্পন্ন

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় বিএফডিসিতে অনুষ্ঠিত হলো প্রয়াত অভিনেতা মিজু আহমেদের জানাজা। তার মরদেহ বিএফডিসিতে আনা হলে সেখানকার চলচ্চিত্র সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে তাঁকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানানো হয়।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 March 2017, 12:20 PM
Updated : 28 March 2017, 12:24 PM

বিএফডিসিতে সম্পন্ন হলো প্রয়াত অভিনেতা মিজু আহমেদের দ্বিতীয় জানাজা। এর আগে সকাল ১০টায় পান্থপথ জামে মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার পরে সকাল সাড়ে দশটার পরে তাকে বিএফডিসিতে আনা হয়। সেখানে তার জানাজা পড়ান বিএফডিসির পেশ ঈমামা।

জানাজার আগে অভিনেতা মিজু আহমেদকে শেষবারের মতো ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন, অমিত হাসান, ওমর সানী, আমিন খান, মিশা সওদাগর, টেলি সামাদ, সাইমন, জায়েদ খান, পরিচালক শেখ নজরুল ইসলাম, অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড প্রমুখ।

জানাজা শেষে মিজু আহমেদের ছেলে তাসরাত বলেন,“বাবা সব সময় চলচ্চিত্র নিয়েই চিন্তা করতেন। বাসায় আমাদের সঙ্গে চলচ্চিত্রের ভালো-মন্দ নিয়ে আলাপ করতেন। তার ইচ্ছানুসারেই কুষ্টিয়ায় দাদা-দাদির কবরের পাশে তাকে কবর দেওয়া হবে।”

অমিত হাসান বলেন,“তিনি ছিলেন আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির একজন অভিভাবক। আজ তাকে আমরা হারিয়ে বিশেষ করে আমরা শিল্পীরা একজন অভিভাবককে হারিয়েছি।”

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত মিজু আহমেদের বড় ছেলে তাসরাত আহমেদ, জাভেদ, সাইমন সাদিক, পরিচালক কাজী হায়াৎ, অভিনেতা টেলি সামাদ, ইলিয়াস কাঞ্চন, আহমেদ শরীফ, মিশা সওদাগর, অমিত হাসান, ওমর সানি, আমিন খান, জায়েদ খান, অরুণা বিশ্বাস প্রমুখ।

সোমবার রাত ৮টা ৩০ মিনিটে দিনাজপুরগামী ট্রেনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন এই গুনী অভিনেতা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর।

১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন মিজু আহমেদ। জন্মের সময় তাঁর নাম রাখা হয় মিজানুর রহমান। শৈশবকাল থেকে তিনি থিয়েটারের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। পরে কুষ্টিয়ার স্থানীয় একটি নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি ।

১৯৭৮ সালে ‘তৃষ্ণা’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে মিজু আহমেদ অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। কয়েক বছর পর তিনি ঢালিউডের অন্যতম সেরা একজন খলনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি নিজের প্রযোজনা সংস্থা ফ্রেন্ডস মুভিজের ব্যানারে বেশ কয়েকটি সিনেমা প্রযোজনা করেছেন।

মিজু আহমেদ অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হচ্ছে—তৃষ্ণা (১৯৭৮), মহানগর (১৯৮১), সারেন্ডার (১৯৮৭), চাকর (১৯৯২), সোলেমান ডাঙ্গা (১৯৯২), ত্যাগ (১৯৯৩), বশিরা (১৯৯৬), আজকের সন্ত্রাসী (১৯৯৬), হাঙ্গর নদী গ্রেনেড (১৯৯৭), কুলি (১৯৯৭), লাঠি (১৯৯৯), লাল বাদশা (১৯৯৯), গুণ্ডা নাম্বার ওয়ান (২০০০), ঝড় (২০০০), কষ্ট (২০০০), ওদের ধর (২০০২), ইতিহাস (২০০২), ভাইয়া (২০০২), হিংসা প্রতিহিংসা (২০০৩), বিগ বস (২০০৩), আজকের সমাজ (২০০৪), মহিলা হোস্টেল (২০০৪), ভণ্ড ওঝা ২ (২০০৬) প্রভৃতি।