রেলগাড়ির কামরায় ‘হঠাৎ দেখা’

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হঠাৎ দেখা’ কবিতার নির্যাস থেকে নির্মিত হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘হঠাৎ দেখা’। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ৩১ মার্চ।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 March 2017, 11:59 AM
Updated : 28 March 2017, 11:59 AM

বাংলাদেশ থেকে চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করছেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তারা জানায়, ‘জাতীয় চলাচ্চিত্র দিবস’কে সামনে রেখে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম চলচ্চিত্রটি মুক্তি দিতে যাচ্ছে ৩১ মার্চ। এদিন যমুনা ব্লকবাস্টার, বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্স, বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড, শ্যামলী-সহ দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাবে।

চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য করেছেন অলোক মুখোপাধ্যায় (ভারত)। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন রেশমী মিত্র (ভারত) এবং সাহাদাত হোসেন (বাংলাদেশ)।

এই চলচ্চিত্রে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ও কলকাতার আশির দশকে ভারতীয় বাংলা ছবির জনপ্রিয় নায়িকা দেবশ্রী রায়। তাদের দুজনেরই দেখা মিলবে হঠাৎ। অনেক বছর পর ট্রেনে দুজনেরই দুজনকে দেখে মনে পড়বে তাদের হারিয়ে যাওয়া প্রেম।

গল্পেরও কিছু ইঙ্গিত পাওয়া গেলো নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস সূত্রে- জীবন সায়াহ্নে এসে একদা দুই অভিন্ন হৃদয় বন্ধুর পুনরায় নিজেদের আবিষ্কার করা রেলগাড়ির কামরায়। বাল্য কৈশোরের প্রথম দেখা, প্রথম স্পর্শ, প্রথম ভালোবাসা সবই ফিরে দেখা অমিত আর মানসীর, মানসী আজ অন্যের পরিণীতা আর অমিত বিশ্ববিখ্যাত, সভ্রান্ত বংশীয় বিদ্বজন। অনেক লুকোচুরির পর দুজনেই ধরা দেয় দুজনের কাছে। মাঝে বিছিন্ন হয়ে অনেকগুলো বছর পেরিয়ে গেছে। তবুও দুজনের হিয়ার মাঝে ভেসে ওঠে অনেক মান-অভিমান, অনেক কথা-না কথা। ট্রেন এগিয়ে চলে তার পথে। মানসীর গন্তব্য এসে যায় আগে। মানসীর বিস্ময় ভরা আকুল প্রশ্ন, ‘আমাদের যে দিন গেছে, সে কি একেবারেই গেছে ?’ অমিতের জবাব, ‘রাতের সব তারা-ই থাকে দিনের আলোর গভীরে’। চিরকালীন চিরসত্য প্রেমের আঘ্রান এসে লাগে দুজনের মনে, ভিজে যায় চোখ। রেলগাড়ি এগিয়ে যায় এক নিরব প্রেমের সাক্ষী হয়ে।’

চলচ্চিত্রটিতে ইলিয়াস কাঞ্চন-দেবশ্রী ছাড়াও বাংলাদেশের সুমাইয়া জান্নাতুল হিমি, মুনিরা ইউসুফ মেমি, ওয়াসেক ইমাদ, মনি তালুকদার ও মোহাম্মদ রাজিউল ইসলাম খান এবং ভারতের শিল্পীদের মধ্যে অভিনয় করেছেন দীপ ভট্টাচার্য, কার্তিক দাস বাউল, শঙ্কর চক্রবর্তী, তুলিকা বসু ও সাধন বাগচি।

চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রাহক বাদল সরকার (ভারত), সম্পাদক সুজয় দত্ত রায় (ভারত), সঙ্গীত পরিচালক রাজা নারায়ন দেব (ভারত), শিল্প নির্দেশক তপন কুমার শেঠ (ভারত) ও কাজী শাহরিয়ার পারভেজ (বাংলাদেশ), রূপসজ্জা আজাদ আহমেদ ও পলাশ আহমেদ (বাংলাদেশ), ড্রেসম্যান শঙ্কর জানা (ভারত), নৃত্য পরিচালক রেশমী মিত্র (ভারত), শব্দ গ্রাহক হিন্দোল চক্রবর্তী (ভারত) ও এস.এম আরিফুল আযম (বাংলাদেশ), আবহসঙ্গীত পরিচালক হিসেবে রাজা নারায়ন দেব (ভারত) দায়িত্ব পালন করেছেন।