না ফেরার দেশে মিজু আহমেদ

না ফেরার দেশে চলে গেলেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা মিজু আহমেদ। সোমবার রাত ৮টা ৩০ মিনিটে দিনাজপুরগামী ট্রেনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন এ শিল্পী। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2017, 03:59 PM
Updated : 27 March 2017, 03:59 PM

তিনি জানান, ‘আহমেদ ইলিয়াস ভুঁইয়া পরিচালিত ‘মানুষ কেন অমানুষ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য রাত আটটায় কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন মিজু আহমেদ। কিন্তু ট্রেনে ওঠার কিছুক্ষণের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। পরবর্তীতে বিমানবন্দর স্টেশনে সাধারণ যাত্রীদের সহযোগিতায় তার লাশ ট্রেন থেকে নামানো হয়।’ 

জানা যায়, ট্রেন থেকে নামানোর পর তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ বর্তমানে কুর্মিটোলা হাসপাতালে রয়েছে।

মিজু আহমেদ ১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্ম নাম হচ্ছে মিজানুর রহমান। শৈশবকাল থেকে তিনি থিয়েটারের প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি কুষ্টিয়ার স্থানীয় একটি নাট্যদলের সাথে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৭৮ সালে ‘তৃষ্ণা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি বড়পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন। খুব অল্পসময়ের মধ্যেই নিজেকে ঢালিউডের অন্যতম সেরা একজন খলনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। অভিনয় ছাড়াও তার নিজের চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ফ্রেন্ডস মুভিজ এর ব্যানারে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রও প্রযোজনা করেন তিনি। তার অভিনীত ছবিগুলো মধ্যে হচ্ছে তৃষ্ণা (১৯৭৮), মহানগর (১৯৮১), সারেন্ডার (১৯৮৭), চাকর (১৯৯২), সোলেমান ডাঙ্গা (১৯৯২), ত্যাগ (১৯৯৩), বশিরা (১৯৯৬), আজকের সন্ত্রাসী (১৯৯৬), হাঙ্গর নদী গ্রেনেড (১৯৯৭), কুলি (১৯৯৭), লাঠি (১৯৯৯), লাল বাদশা (১৯৯৯), গুন্ডা নাম্বার ওয়ান (২০০০), ঝড় (২০০০), কষ্ট (২০০০), ওদের ধর (২০০২), ইতিহাস (২০০২), ভাইয়া (২০০২), হিংসা প্রতিহিংসা (২০০৩), বিগ বস (২০০৩), আজকের সমাজ (২০০৪)

মহিলা হোস্টেল (২০০৪), ভন্ড ওঝা (২০০৬) ইত্যাদি।

‘তৃষ্ণা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ১৯৯২ সালে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন মিজু আহমেদ।