চিঠিটি সঞ্জয় লীলা বনশালী লিখেছেন ‘রাজপুত সভার সকল সামাজিক সংগঠন’কে উদ্দেশ্য করে। তিনি তাতে লিখেন, “আপনাদের সঙ্গে যেভাবে আলাপের প্রেক্ষিতে পরিস্কারভাবে জানানোর জন্য বলছি, রানি পদ্মাবতীর সঙ্গে আলাউদ্দীন খিলজীর কোনো রোমান্টিক স্বপ্নদৃশ্য কিংবা কোনো আপত্তিকর দৃশ্য নেই। আমরা নিশ্চিত, আমার সিনেমা দেখে মেবারের রাজপুতানা তাদের শ্রদ্ধেয় রানিকে নিয়ে গর্বই করবে। আমরা কারও অনুভূতিতে আঘাত হানতে চাই না। আমরা অনুরোধ করবো সকল সামাজিক সংগঠন এবং রাজপুত জনগণকে, তারা যেন সিনেমাটি তৈরিতে এবং তাদের শ্রদ্ধেয় রানিকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে আমাদের সাহায্য করে।”
এর আগে দুইবার ‘পদ্মাবতী’র সেটে হামলা চানায় রাজপুত করনি সেনা। প্রথমবার জয়পুরে পদ্মাবতীর সেটে ভাংচুর চালানোর পর সঞ্জয় লীলা বনশালীকে জনসমক্ষে লাঞ্ছিতও করা হয়। দ্বিতীয়বার মহারাষ্ট্রে ‘পদ্মাবতী’র সেটে আগুন দেওয়া হয়; তাতে সিনেমাটির বহুমূল্যের পোশাক ও অলঙ্কর নষ্ট হয়।
রাজপুত নেতাদের সঙ্গে এই আপসের প্রসঙ্গে বম্বে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় লীলা বনশালী বলেন, “আমি এবং আমার দল রাজপুত নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের আশ্বাসের উপর ভিত্তি করে তারা ভবিষ্যতে আমাদেরকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আশা করছি, এর মাধ্যমে সিনেমাটি নিয়ে সবার ভুল ধারণা দূর হবে। এর জন্য আমরা ধন্যবাদ জানাই গোটা বিশ্বের সিনেমা জগৎকে যারা সিনেমা নির্মাণ প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করার বিরূদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন।”
‘পদ্মাবতী’ সিনেমার গল্প এগিয়েছে রাজপুত রানি পদ্মাবতীকে ঘিরে, যার প্রেমে পড়েছিলেন দিল্লির শাসক আলাউদ্দীন খিলজী।