অস্কারের সর্বশেষ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার তুলে দিতে যখন মঞ্চে ওঠেন প্রবীন অভিনয়শিল্পী যুগল ওয়ারেন বেটি এবং ফে ডনাওয়ে, তখন সেরা সিনেমার নাম ঘোষণার আগে একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করছিলেন তারা। শেষমেশ বেশ দ্বিধার সুরেই ‘লা লা ল্যান্ড’-এর নাম ঘোষণা করেন বেটি।
দর্শকেরা বিষয়টিকে বেটি’র কৌতুক বলে মনে করলেও পরে জানা যায় আসল ঘটনা। বেটি দাবি করেন, তার হাতে থাকা কার্ডে লেখা ছিল ‘এমা স্টোন : লা লা ল্যান্ড’। আর তাই সেরা সিনেমার নাম নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন তিনি।
ওদিকে অস্কার শেষে ব্যাকস্টেজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমা স্টোন জানালেন সম্পূর্ণ এক ভিন্ন ঘটনা।
দ্য হলিউড রিপোর্টারে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এমাকে বলতে শোনা যায়, “আমার ‘মুনলাইট’ সত্যিই খুব ভাল লেগেছে। এটি পুরস্কৃত হওয়ায় অন্যদের মতো আমিও দারুণ উচ্ছ্বসিত। অবশ্যই প্রথমে ‘লা লা ল্যান্ড’-এর নাম শুনে খুব ভাল লেগেছিল। এটি পুরস্কার পেলে আরও ভাল লাগতো।”
এরপরই বিস্ফোরক তথ্যটি জানান তিনি, “আমার হাতে তখনও সেরা অভিনেত্রীর কার্ডটি ধরা ছিল। আমি কোনো কিছুর সূচনা করতে চাইনা, কিন্তু যে গল্পটা বানানো হলো এটা নিয়ে… যাই হোক, কার্ডটি আমার কাছে ছিল।”
এই বিভাগে এমার প্রতিদ্বন্দ্বিরা ছিলেন নাটালি পোর্টম্যান, মেরিল স্ট্রিপ, রুথ নেগা আর ইসাবেল উপার-এর মতো অভিনেত্রীরা।
পুরস্কার গ্রহণ করে প্রথমেই আগে এই অভিনেত্রীদের প্রতি নিজের মুগ্ধতার কথা জানান এমা।
তিনি বলেন, “আপনারা এতোই অসাধারণ যে, আপনাদেরকেই আমি অনুসরণ করি, আপনাদেরই প্রশংসা করি, এবং সেটা এতটাই যে ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।”
এমা স্টোন সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন মিয়া নামের এক তরুণীর ভূমিকায়, বারে কাজ করতে করতে যে স্বপ্ন দেখে হলিউডের বড় অভিনেত্রী হওয়ার।
এমা বলেন, চরিত্রটির সঙ্গে তিনি নিজের মিল খুঁজে পান, কারণ শুরুতে এমন স্বপ্ন তিনিও দেখেছেন।
তার ভাষ্যে, “আমি এখানে ১৩ বছর ধরে আছি। ১৫ বছর বয়সে আমি এখানে চলে আসি এবং তখন থেকেই আমি অডিশন দিতে শুরু করেছিলাম।”
ডেমিয়েন শ্যাজেল পরিচালিত ‘লা লা ল্যান্ড’ এবারের অস্কারে মনোনীত সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবি। এমার পাশাপাশি ডেমিয়েন নিজেও জিতে নিয়েছেন সেরা নির্মাতার অস্কার।