শনিবার বিকেলে গানটি প্রসঙ্গে গ্লিটজকে সুস্মিতা আনিস বলেন, “আমার গানের থিমটা হচ্ছে নব্বইয়ের আগের সময়টাকে তুলে ধরা। সেল ফোন ও ইমেজ ব্যবহারের যুগের ঠিক আগের সময়টায় মানুষের ভালোলাগা ও ভালোবাসা প্রকাশের জন্য অনেক সময় নিয়ে তার প্রিয়জনকে মনের অব্যক্ত কথা বলার বিষয়গুলো খুবই সুন্দর ছিলো। শুধু তাই নয়, সেই সময়ের প্রেমের অনুভূতির গভীরতাও অনেক বেশি ছিলো। কিন্তু সেই বিষয়গুলো এখনকার প্রজন্মের মধ্যে অনুপস্থিত। তারা খুব সহজেই একটি মুহূর্তের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়গুলো প্রকাশ করে ফেলে। আমি মূলতঃ এই গানের মাধ্যমে আমাদের সেই হারিয়ে যাওয়া সময়ের প্রেমের আবেদনের সুন্দর বিষয়গুলো ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।”
গানে ব্যক্তিজীবনের কোনো গল্প উঠে এসেছে কি না, জানতে চাইলে একটু হেসে উত্তর দিলেন সুস্মিতা।
গ্লিটজকে তিনি বলেন, “ব্যক্তিজীবনের কোনো গল্প নয়। ছাত্রজীবনে সময়ে অনেক বন্ধুদের জীবনে অনেক না বলা গল্প আমরা অনেকেই শুনেছি। আবার অনেক পরিচিতদের জীবনে এমন না বলা প্রেমের ঘটনা দেখেছিও। সেই সময়টায় প্রিয়জনকে হাতে লিখে কোনো কিছু প্রকাশের অনুভূতি একেবারেই অন্যরকম ছিলো। আমার কাছে মনে হলো সেই বিষয়গুলোকে আমি একটি গানের মাধ্যমে শ্রোতাদের কাছে উপস্থাপন করি।”
গানের কথা, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সঙ্গীত পরিচালক অদিত রহমান।
ভালোবাসা দিবসের পরেই গানটি প্রকাশ কেন করা হচ্ছে, এমন প্রশ্নে খুব সরল উত্তর দিলেন সুস্মিতা আনিস।
গ্লিটজকে তিনি বলেন, “ফেব্রুয়ারি মাসে ভালোবাসার দিবসের পরে আমার এই গানটি শ্রোতাদের উপহার দিলেও এই গানটি সবসময়ের জন্য একটি রোমান্টিক ঘরানার গান। এই গানটি শোনার জন্য কোন বিশেষ দিনক্ষণের প্রয়োজন নেই।”
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে গানটি রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি)ইউটিউব চ্যানেল, ফেইসবুক পেইজ, রেডিও ও টেলিভিশনে গানটির অডিও এবং মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করা হবে ।
ছবি: সুস্মিতা আনিস ও শুটিংয়ের ছবি ইমপ্যাক্ট পিআর-এর সৌজন্যে।