সম্প্রতি এপ্রিল রিজিওন নামের এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অস্কারের বর্ণবাদী বৈশিষ্ট্য নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে তিনি ‘অস্কারস সো হোয়াইট’ হ্যাসট্যাগ দিয়ে তার অনুযোগের কথা লিখেছেন। এরই মধ্যে অনেকেই ‘অস্কারস সো হোয়াইট’ হ্যাসট্যাগ দিয়ে অংশ নিয়েছেন এপ্রিলের এ প্রচারণায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, কেবলমাত্র হলিউড ছবিকে প্রাধান্য দেয়ার মাধ্যমে এশিয়ান, ল্যাটিন ও অন্যান্য অংশের শিল্পীদের অবহেলা করা হচ্ছে অস্কারে। এ অবহেলা আরও বেশি ঘটছে নারী শিল্পীদের বেলায়। প্রতিবারের অস্কার মনোনয়নের দিকে নজর দিলে এ পরিসংখ্যানটি পরিস্কার হয়ে যাবে।
এ বছর ‘লায়ন’ ছবির জন্য সেরা পার্শ্ব-অভিনতো মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ তারকা দেব প্যাটেলকে। এর আগে সর্বশেষ পুরস্কার পাওয়া ভারতীয় অভিনেতা ছিলেন বেন কিংসলি। তাও সেটি প্রায় ১৩ বছর আগের কথা। একই ভাবে সর্বশেষ অস্কার মনোনয়ন পাওয়া ল্যাটিন অভিনেতা হলেন ডেমিয়ন বিচির। ২০১২ সালে মনেয়ন পেয়েছিলেন তিনি।
শুধু তাই নয় জাপানিজ, চাইনিজ ও স্প্যানিশ তারকারাও বরাবরই পিছিয়ে আছেন অস্কারের মনোনয়ন থেকে। কিছুদিন আগে জ্যাকি চ্যানকে বিশেষ সম্মানসূচক অস্কার দিয়ে এ কলঙ্ক কিছুটা ঘুচলেও এখনো পুরস্কার প্রদান ও মনোনয়নের ক্ষেত্রে মার্কিনি ও বিশেষ করে শেতাঙ্গরাই অধিক গুরুত্ব পেয়ে এসেছে।
এবারের আসরে বেশ ক’জন কালো তারকাকে মনোনীত করা হলেও অস্কারের বিরুদ্ধে প্রতি এ অভিযোগটি বেশ পুরনো যে, সাদা তারকাদেরই বরাবর বেশি গুরুত্ব পেয়ে থাকেন অস্কারে। তবে অস্কারের বিরুদ্ধে সারাসরি এমন প্রচারণার ঘটনা এটিই প্রথম!