‘গুড মর্নিং ব্রিটেইন’ নামের এক অনুষ্ঠানে সম্প্রতি এই ঘটনার কথা প্রকাশ করেন লোহান।
তিনি বলেন, “আমি নিউ ইয়র্কে ফিরছিলাম যখন, মাথায় তখন একটি স্কার্ফ পরেছিলাম। জীবনে প্রথমবার একারণে আমাকে বর্ণবাদের শিকার হতে হয়। পরে যখন নিরাপত্তাকর্মী আমার পাসপোর্ট খুলে দেখে আমি লিন্ডসে লোহান, তখন তারা দুঃখপ্রকাশ করতে শুরু করে আর বলে ওঠে, ‘স্কার্ফটা খুলে ফেলুন’।”
তিনি আরও বলেন ঘটনাটি সারাজীবন মনে থাকবে তার।
তার ভাষ্যে,“প্রথমবারের মতো আমার মনে হয়, স্কার্ফ খুলে ফেলতে স্বচ্ছন্দবোধ করবেন না, এমন নারীরা এই ঘটনায় কেমন বোধ করবেন?”
লিন্ডসে আরও বলেন, “আমার জন্য ঘটনাটি ছিল খুবই অদ্ভূত। আমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম। আমার জন্ম, বেড়ে ওঠা- দুটোই নিউ ইয়র্কে, তারপরও আমার ভয় লাগছিল।”
তুরস্কে অভিনেত্রী নয়, একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে দেশটির রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইপ এরদোয়ান ও তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন লিন্ডসে লোহান। ২০১৫তে সিরিয়ার উদ্বাস্তু শিশুদের সঙ্গেও দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি।