ফরীদির একুশে পদকের জন্য গণস্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু

মৃত্যুর প্রায় পাঁচ বছর পর প্রয়াত অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদিকে একুশে পদক দেওয়া দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানে নেমেছেন তার ভক্তরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2017, 10:48 AM
Updated : 19 Jan 2017, 10:48 AM

‘ফরীদি'র জন্য একুশে পদক’ নামের একটি অনলাইন সংগঠনের ব্যানারে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গনে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়।

বিকাল ৩টা থেকে শিল্পকলা একাডেমিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়।

সংগঠনের অন্যতম উদ্যাক্তা সিকদার লোটাস সবুজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২৬ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে চত্বরে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হবে।”

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষার্থী থাকাকালীনই ফরীদি অভিনয়ে জড়িয়েছিলেন।

মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের এ কিংবদন্তি অভিনেতা ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।

সিকদার লোটাস সবুজ বলেন, “রাষ্ট্রের উচিত হুমায়ুন ফরীদির মতো একজন গুণী শিল্পীকে সম্মানিত করা। সেটি রাষ্ট্রকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যই আমাদের এ উদ্যোগ। আর তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন, প্রতিবছরই অভিনয় ক্ষেত্রে পদক দেওয়া হচ্ছে; সেক্ষেত্রে তার মতো একজন গুণী শিল্পীকে সম্মানিত করলে রাষ্ট্রই সম্মানিত হবে।

“আগামী মাসে একুশে পদক ঘোষণা করা হবে। সে কারণেই চলতি মাস থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি গ্রুপের মাধ্যমে হুমায়ুন ফরীদিকে একুশে পদক প্রদানের দাবি তুলেছি। পাশাপাশি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সাথেও যোগাযোগ করছি।”

গণস্বাক্ষর সংগ্রহের তা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার হিসেবে ১৯৭৬ সালে একুশ পদকের প্রচলন করা হয়। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, শিক্ষা, সাহিত্য, শিল্পকলা, গবেষণা, অর্থনীতি, সাংবাদিকতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সমাজসেবা ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবছরই এ পদক প্রদান করে আসছে সরকার।

তিন দশকের অভিনয় জীবনে অসামান্য অভিনয় দক্ষতায় দর্শকদের মুগ্ধ করেছিলেন হুমায়ুন ফরীদি। ২০০৪ সালে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।