আরডি বর্মণকে নিয়ে এই তথ্যগুলো জানতেন কি?

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে সুরের জাদুতে গোটা বলিউডকে ভুলিয়ে রেখেছিলেন যিনি, সেই কিংবদন্তী সংগীত পরিচালক রাহুল দেব বর্মণ পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ১৯৯৪ সালের ৪ জানুয়ারি। প্রয়াণদিবসে চলুন জেনে নেওয়া যাক তার সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত তথ্য।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2017, 03:28 PM
Updated : 4 Jan 2017, 03:28 PM

১. ‘পা’ থেকে পঞ্চম

উপমহাদেশের আরেক বিখ্যাত সংগীতজ্ঞ শচীন দেব বর্মণের ছেলে রাহুল দেব বর্মণকে তার কাছের মানুষেরা ‘পঞ্চম’ নামেই চিনতেন। আর.ডি.বর্মণ-এর এই বিশেষ ডাকনামটি পাওয়ার পেছনে বেশ কটি প্রচলিত গল্প আছে।

প্রথমটি হলো রাহুল-এর কান্না নিয়ে। ছোটবেলায় নাকি শিশু রাহুল-এর কান্নার সুর ঠিক সারেগামার ‘পা’তে গিয়ে লাগতো। আর সেখান থেকেই তার নাম হয়ে যায় পঞ্চম।

আরেকটি গল্প কিংবদন্তী অভিনেতা অশোক কুমারকে নিয়ে। শিশু রাহুলকে একবার দেখতে এসেছিলেন তিনি। সেবার তাকে দেখে ছোট্ট রাহুল নাকি কেবলই ‘পা পা পা’ বলে ডাকছিলেন। সেখান থেকে তার নাম পঞ্চম হয়ে যায়- এমন গল্পও শোনা যায়।

২. নীরিক্ষার রাজা

কেবল সুর নিয়েই নয়, রাহুল দেব বর্মণ ভালোবাসতেন বাদ্যযন্ত্র নিয়ে নীরিক্ষা করতেও। ‘চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে’ গানটির টুং টাং আওয়াজ তিনি বের করেছিলেন কাঁচের গ্লাসে চামচ দিয়ে বাজিয়ে। ‘মেরে সামনে ওয়ালি খিড়কি মে’র খড়খড়ে আওয়াজটা তিনি বের করেছিলেন কর্কশ একটি ঝিনুকে চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে।     

‘আবদুল্লাহ’ সিনেমার একটি গানের জন্য বাঁশের বাঁশিতে বেলুন বেঁধে শব্দ বের করেছিলেন তিনি। ‘ও মেরে সোনা রে’ গানটির জন্য ভারতীয়দের মধ্যে তিনিই প্রথম ইলেক্ট্রনিক মিউজিক ব্যবহার করেন।

৩. বৃষ্টি-প্রেমিক

বৃষ্টির টাপুর-টুপুর শব্দ দারুণ ভালোবাসতেন আর.ডি. বর্মণ। বর্ষাকালে জানালার পাশে বসে ঘন্টার পর ঘন্টার বৃষ্টির আওয়াজ রেকর্ড করার অভ্যাস ছিল তার।

৪. মাউথ অর্গান বাজিয়ে

‘হ্যায় আপনা দিল তো আওয়ারা’ গানের সঙ্গে মাউথ অর্গানের সুরটা আর.ডি.বর্মণ নিজেই তুলেছিলেন, যাতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন হেমন্ত কুমার। শুধু তাই নয়, তার বন্ধু লক্ষীকান্ত পেয়ারেলাল-এর জন্য ‘দোস্তি’তেও মাউথ অর্গান বাজিয়েছিলেন তিনি।

৫. ক্ষুদে জাদুকর

আর.ডি.বর্মণ গানে প্রথম সুর বসিয়েছিলেন নয় বছর বয়সেই। শচীন দেব বর্মণ ছোট্ট রাহুলের সুর করা গান ‘অ্যায় মেরে টোপি পলট কে আ’ ব্যবহার করেছিলেন ‘ফানটুশ’ সিনেমায়।