গ্রেপ্তার হলেন তাপস পাল

আশির দশকের আলোচিত অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ তাপস পাল গ্রেপ্তার হয়েছেন। বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা রোজভ্যালির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআই)।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Dec 2016, 02:30 PM
Updated : 30 Dec 2016, 02:34 PM

কলকাতার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে এই তৃণমূল সাংসদকে এবিষয়ে শুক্রবার চার ঘন্টার জেরার সম্মুক্ষীণ হতে হয়। সকালেই তিনি সস্ত্রীক সিবিআই দপ্তরে হাজির হন, সঙ্গে ছিলেন তার আইনজীবিও।

বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা রোজভ্যালির সঙ্গে তাপস পালের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল এবং তিনি ওই সংস্থার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়েছেন- এই অভিযোগের ভিত্তিতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তলব করা হয়।

পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমগুলো বলছে, রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু এবং সংস্থার একাধিক কর্মীকে সিবিআই আগেই জেরা করেছে। তাদের বয়ান থেকেই তাপস পাল-সহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গেও বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থাটির যোগ থাকার অভিযোগ উঠে এসেছিল। সিবিআই অপেক্ষা করছিল সেইসব বয়ানের সঙ্গে তাপস পালের বয়ান মিলিয়ে দেখার।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর, এ দিন তাপস পালকে দু’দফায় জেরা করা হয়। প্রথম দফার জেরায় তার বয়ান রেকর্ড করার পর  গৌতম কুণ্ডু এবং অন্যদের বয়ানের সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখা হয়। এরপর শুরু হয় দ্বিতীয় দফার জেরা । এই দফায় সিবিআই-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তৃণমূল সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

রোজভ্যালির কাছ থেকে নগদে টাকা নেওয়ার সব অভিযোগ তাপস পাল প্রথমে অস্বীকার করেছিলেন বলে খবর। কিন্তু দ্বিতীয় দফার জেরায় সিবিআই তার সঙ্গে রোজভ্যালির নগদ লেনদেনের তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরলে, তাপস পাল নীরব ছিলেন বলেই জানা গেছে।

ছয়মাস আগেও রোজভ্যালির চলচ্চিত্র বিভাগের অন্যতম নির্দশক ছিলেন তাপস পাল। ওই সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে তার অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেন করা হয়- এই তথ্য প্রমাণ সিবিআই-এর কাছে আছে। যদিও, কেন টাকার লেনদেন হয়েছিল- এই প্রশ্নের কোনো উত্তর তিনি সিবিআইকে জানাতে পারেননি।

দেবশ্রী রায়ের বিপরীতে ১৯৮০ সালের সিনেমা ‘দাদার কীর্তি’ দিয়ে সিনেমায় অভিষেক ঘটে তাপস পালের। পরবর্তীতে, ‘সমাপ্তি’, ‘আগমন’, ‘সুরের আকাশে’ ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’-র মতো সিনেমায় অভিনয় করে জনপ্রিয় নায়কে পরিণত হন তিনি। নব্বইয়ের দশক থেকেই অভিনয়ে খুব একটা নিয়মিত ছিলেন না তিনি। ২০০৯ সালে ভারতের সাধারণ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস-এর প্রার্থী হয়ে কৃষ্ণনগরের নির্বাচিত এমপি হন।