লন্ডনে জন্ম নেওয়া এই শিল্পীর বাবা ছিলেন সাইপ্রাসে বেড়ে ওঠা গ্রিক বংশোদ্ভূত এক রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী। শিল্পীজীবনে জর্জ মাইকেল নাম নিয়ে খ্যাতির শিখরে উঠলেও তার আসল নাম ছিল জিওরগোস কিরিয়াকোস পানাইয়োতু। পঞ্চাশের দশকে তার বাবা পরিবারসহ যুক্তরাজ্যে অভিবাসী হন।
তার অন্যতম বিখ্যত গান ‘কেয়ারলেস হুইসপার’ লিখেছিলেন মাত্র ১৭ বছর বয়সে। তার ওয়্যাম! ব্যান্ডের সদস্য এবং দীর্ঘদিনের বন্ধু অ্যান্ড্রু রিজেলির সঙ্গে এক বৃহস্পতিবার বিকেলে স্কুল বাসের পেছনের সারিতে বসে গানটি লিখেছিলেন তিনি।
গানটি প্রকাশ করতে ২১ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করেন জর্জ মাইকেল। ১৯৮৪ সালে প্রকাশিত এই গান পরবর্তীতে ২৫ টি দেশে ৬ কোটিরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছিল।
একই বছরে ওয়্যাম!-এর সঙ্গে তিনি প্রকাশ করেন তার আরেকটি বিখ্যাত গান ‘লাস্ট ক্রিসমাস’। গানটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই সাড়া পড়ে যায়। তবে এটিই হলো ব্রিটেনের সর্বাধিক বিক্রিত গান, যেটি কখনও টপ চার্টের ১ নম্বরে পৌঁছুতে পারেনি।
১৯৯৮ সালে বেভারলি হিলস-এর একটি গণশৌচাগারে ‘অশ্লীল অঙ্গভঙ্গী’র দায়ে গ্রেপ্তার হন জর্জ মাইকেল। ওই ঘটনার পরই প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন, তিনি সমকামী।
২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে যুক্তরাজ্যের ইরাক অভিযানের কড়া সমালোচনা করেছিলেন তিনি। এর আগের বছর বিষয়টি নিয়ে ‘শুট দ্য ডগ’ নামের একটি সিঙ্গল প্রকাশ করেন জর্জ, যেখানে টনি ব্লেয়ার ও জর্জ বুশকে বিদ্রুপ করে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল।
আমৃত্যু নিজেকে একজন ‘বিটলস’ ভক্ত হিসেবে পরিচয় দিয়ে গেছেন জর্জ মাইকেল। ২০০০ সালে প্রায় ১৭ লাখ পাউন্ড দিয়ে জন লেননের ব্যবহৃত পিয়ানোটি নিলামে কিনেছিলেন তিনি। পরের বছর আবার সেটি দান করে দেন বিটলস জাদুঘরে।
২০১০ সালে মাদক নেওয়া অবস্থায় গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জেল খাটতে হয়েছিল জর্জ মাইকেলকে। ওই সময় পল ম্যাকার্টনি তাকে চিঠি লিখে সমবেদনা জানিয়েছিলেন। ওই চিঠি পরবর্তীতে বহুবার প্রকাশ্যে পাঠ করেছেন তিনি।