আলম খান অসুস্থ, শমরিতায় ভর্তি

আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দেশ বরেণ্য সঙ্গীত পরিচালক আলম খান। রবিবার বিকালে রাজধানীর শমরিতা হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Sept 2016, 07:18 PM
Updated : 25 Sept 2016, 07:18 PM

বিষয়টি ফোনে গ্লিটজকে নিশ্চিত করেছেন গীতিকার কবির বকুল।

এই গীতিকার বলেন, “তিনি (আলম খান) এখন শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার শরীরে অনেকগুলো সমস্যা রয়েছে। আজ (রবিবার) বিকালে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তার শ্বাস কষ্টের সমস্যা হচ্ছে তাই তাকে নেবুলাইজার দেওয়া হয়েছে। বতর্মানে তিনি বেডে রয়েছেন। সেখানেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”

কবির বকুল আরও বলেন, “সোমবার তার অ্যাটেনডেন্ট ডাক্তার আলী হোসেন এসে পর্যবেক্ষণ করবেন। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন পরে আর কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। কারণ তার শরীরে অনেকগুলো সমস্যা রয়েছে।”

২০১০ সালে আলম খানের ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপরে তাকে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে নেওয়া হয়। সেখানে তার ফুসফুসে অস্ত্রোপচার করার পরে কিছু দিন ভালো থাকলেও পরে তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন।

এছাড়াও ২০১৫ সালে তার হৃদযন্ত্রে ধরা পড়া একটি ব্লকে রিং-ও পড়ানো হয়েছে।

১৯৬৩ সালে রবিন ঘোষের সহকারী হিসেবে ‘তালাশ’ সিনেমায় সঙ্গীত পরিচালনার মাধ্যমে মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন আলম খান। এরপরের গল্পটা সকলের জানা।

১৯৭০ সালে আবদুর জব্বারের ‘কাচ কাটা হীরে’ সিনেমায় এককভাবে সঙ্গীত পরিচালনা করেন। তার সুরকৃত প্রথম জনপ্রিয় গান ‘স্লোগান’ সিনেমার ‘তবলার তেড়ে কেটে তাক।’

তার সুরারোপিত কালজয়ী গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘আমি একদিন তোমায় না দেখিলে’, ‘তুমি যেখানে আমি সেখানে’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’ ইত্যাদি।

১৯৮২ সালে ‘বড় ভালো লোক ছিল’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন এই সঙ্গীতজ্ঞ।

১৯৪৪ সালে ২২ অক্টোবর সিরাজগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার আসল নাম খুরশিদ আলম খান হলেও তিনি সঙ্গীত অঙ্গনে আলম খান নামে পরিচিত।

তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক। বতর্মানে তার বয়স ৭১ বছর।

ছবি: সঙ্গীতশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নির ফেইসবুক থেকে।